যদি কখনও ব্যালন ডি’অর জিততে না পারেন, নিজেকেই দায়ী করবেন বার্সেলোনার তরুণ সেনসেশন লামিনে ইয়ামাল।
ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ব্যালন ডি’অর। এর ব্যতিক্রম নন বার্সেলোনার তরুণ ফরোয়ার্ড ইয়ামালও। এই বছর বর্ষসেরা ফুটবলারের খেতাবের লড়াইয়ে থাকা ইয়ামাল বললেন, শুধু একবার নয়, তিনি ক্যারিয়ারে অনেকবার এই পুরস্কার জেতে চান।
মাত্র ১৮ বছর বয়সেই ফুটবল বিশ্বে নিজের পরিচয় গড়ে তুলেছেন ইয়ামাল। পায়ের জাদুতে হয়ে উঠেছেন সময়ের সেরাদের একজন।
গত মৌসুমে পিএসজির ট্রেবল জয়ে বড় অবদান রাখা উসমান দেম্বেলেকে এবারের ব্যালন ডি’অরের প্রধান দাবিদার মনে করা হলেও, বার্সেলোনার লা লিগা, কোপা দেল রে এবং স্প্যানিশ সুপার কাপ জেতায় ইয়ামালের নামও বেশ আলোচনায়।
আগামী ২২ সেপ্টেম্বর প্যারিসে অনুষ্ঠিত হবে ব্যালন ডি’অরের অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান। জয়ী নির্বাচিত হন সাংবাদিকদের ভোটে। ইতিমধ্যেই ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে এবং আয়োজক ফ্রান্স ফুটবল তা গোপন রেখেছে।
এক পডকাস্টে ইয়ামাল নিজের লক্ষ্য শেয়ার করেছেন, “আমি বন্ধুদের বলেছি, আমি শুধু একবার ব্যালন ডি’অরের স্বপ্ন দেখি না, বরং অনেকবার এই পুরস্কার জেতার স্বপ্ন দেখি।”
বার্সেলোনার হয়ে ইতিমধ্যেই একশর বেশি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন ইয়ামাল। গত মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৫ ম্যাচে ১৮ গোল এবং ২৫টি অ্যাসিস্ট করেছেন। জাতীয় দলের হয়ে স্পেনকে ২০২৪ ইউরো জয়েও অবদান রেখেছেন—একটি গোল এবং চারটি গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন।
চলতি মৌসুমেও ছন্দে আছেন তিনি। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দুই ম্যাচে গোল না পেলেও তিনটি অ্যাসিস্ট করেছেন, আর বার্সেলোনার জার্সিতে তিন ম্যাচে দুই গোল ও তিনটি অ্যাসিস্ট করেছেন।
নিজের কাজ ভালোভাবে করে যাচ্ছেন ইয়ামাল, আর সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চান। তাই ক্যারিয়ারে কখনও যদি ব্যালন ডি’অর জিততে না পারেন, নিজেকেই দায়ী করবেন এই ফুটবলার।
“আমার মনে হয়, আমি এমন একজন ফুটবলার যার ব্যালন ডি’অর জেতার সামর্থ্য আছে। যদি জিততে না পারি, তার কারণ হবে, আমি যথাযথ চেষ্টা করি নি বা আমার এই পুরস্কার পাওয়ার তাড়না যথেষ্ট ছিল না। তাই আমি অনেকবার এই স্বপ্ন দেখি, আর সেই দিন যখন আসবে, আমি খুবই খুশি হব।”