সব ম্যাচের ম্যাচ ফি ভারতীয় সেনাবাহিনীকে দান করবেন সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ। আর পাকিস্তান দল তাদের ফাইনালের ম্যাচ ফি দেবে ভারতের হামলায় নিহতদের পরিবারকে।
সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষের পথে। তখনই ভারতীয় অধিনায়ক সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ হঠাৎ বললেন,
“আপনারা এটা জিজ্ঞেস করেননি, কিন্তু সৌজন্যের খাতিরে বলছি… জানি না, এ নিয়ে বিতর্ক হবে কি না…”
তার পাশের চেয়ারে বসা আভিশেক শর্মা কৌতূহল নিয়ে তাকালেন অধিনায়কের দিকে। সংবাদ সম্মেলনের সবাইও তাকিয়ে রইলেন সুরিয়াকুমারের দিকে। মুচকি হেসে তিনি যোগ করলেন,
“বিতর্কের কিছু নেই। এটা তো ভালো উদ্যোগ। এই টুর্নামেন্টে আমার সব ম্যাচের ম্যাচ ফি আমি দিতে চাই ভারতীয় সেনাবাহিনীকে।”
বিতর্কের প্রসঙ্গটি আসলে প্রথম ম্যাচের পরের ঘটনার দিকে ইঙ্গিত। সেদিন টসের সময় পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আগার সঙ্গে হাত মেলাননি সুরিয়াকুমার। ম্যাচ শেষে ভারতীয় ক্রিকেটাররাও পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে করমর্দন করেননি। পরে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে সুরিয়াকুমার জয় উৎসর্গ করেন ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে এবং পেহেলগামের সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের প্রতি একাত্মতা জানান।
সংবাদ সম্মেলনেও সশস্ত্রবাহিনীকে জয় উৎসর্গ করা ও পেহেলগামের হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার কথা বলেন তিনি। এরপর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আইসিসিতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে। অভিযোগের শুনানিতে আইসিসি তাকে ‘রাজনৈতিক মন্তব্য’ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয় এবং ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ জরিমানাও করে। তার মূল শাস্তির কারণ ছিল সংবাদ সম্মেলনে সরাসরি ‘অপারেশন সিঁদুর’ উল্লেখ করা।
টুর্নামেন্টজুড়ে চলা বিতর্কের রেশ ফাইনালের পরও থাকল। ম্যাচ ফি সেনাবাহিনীকে দেওয়ার কথা বলেই সংবাদ সম্মেলন শেষ করেন সুরিয়াকুমার।
এর কয়েক ঘণ্টা পর পাকিস্তান ক্রিকেট দল সামাজিক মাধ্যমে জানায়, ফাইনালে সবার ম্যাচ ফি তারা দান করবে তাদের দেশে ভারতের হামলায় নিহতদের জন্য।
“পাকিস্তান ক্রিকেট দল এশিয়া কাপ ফাইনালের ম্যাচ ফি উৎসর্গ করছে ৭ মে হামলায় প্রাণ হারানো নিষ্পাপ মানুষদের, যেখানে শিশু-সহ বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যু হয়েছে। তাদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা ও প্রার্থনা।”