বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সোমবার অনুষ্ঠিত হবে। তবে নির্বাচনের আগের দিনই উঠেছে নানা নাটকীয়তা। একজন প্রার্থী প্রত্যাহার করেছেন এবং আলোচিত ১৫ ক্লাব আদালতের রায়ে ভোটাধিকার ফিরে পেয়েছে।
রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব নির্বাচনকে ঘিরে তৈরি অনিশ্চয়তা দূর করেছেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ১৫ ক্লাবের ভোটাধিকার বহাল থাকবে এবং সব মামলা হাইকোর্টের চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য পাঠানো হয়েছে।
শুনানিতে রিট আবেদনকারীদের আইনজীবীরা নির্বাচনের ওপর স্থগিতাদেশ চাইলে আদালত স্পষ্ট জানিয়েছেন, “নির্বাচনে স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে না। নির্বাচন হওয়া উচিত।”
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ, অনীক আর হক এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস, কায়সার কামাল ও শফিকুল ইসলাম।
বিসিবি নির্বাচন সংক্রান্ত চেম্বার বিচারপতির আদেশের বিষয়ে বিসিসির আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান বলেন, “আজকের রায়ে বিসিবির সভাপতির ১৮ সেপ্টেম্বরের চিঠি বহাল থাকল। নির্বাচন হতে কোনো বাধা নেই। ১৫ ক্লাবের কাউন্সিলররা ভোট দিতে পারবেন এবং ৬ অক্টোবর নির্বাচনও নিরবিচ্ছিন্নভাবে অনুষ্ঠিত হবে।”
এর আগে শনিবার মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব প্রাঙ্গণে ৪৮টি ক্লাব নির্বাচন বাতিলের দাবি জানায়। তবে ভোটাধিকার ফিরে পাওয়া ১৫ ক্লাবের প্রতিনিধিরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন অভিযোগের কারণে মোট ২০ প্রার্থী নির্বাচনের বাইরে সরে দাঁড়ান।