BN

সিরাজ ট্রল শুনেছেন বাপের সঙ্গে অটো চালাও

সিরাজ ট্রল শুনেছেন বাপের সঙ্গে অটো চালাও

হায়দরাবাদের অটোরিকশা চালকের ছেলে মোহাম্মদ সিরাজ আজ ভারতের ক্রিকেট নায়ক। তবে তার

হায়দরাবাদের অটোরিকশা চালকের ছেলে মোহাম্মদ সিরাজ আজ ভারতের ক্রিকেট নায়ক। তবে তার পথ কখনো সহজ ছিল না। ক্রিকেট মাঠে ভালো দিনে যেমন প্রশংসা পেয়েছেন, খারাপ দিনে ততই ট্রল ও গালিও শুনতে হয়েছে তাকে। বাবার পরিচয়কে নিয়ে কতোটা ট্রল করা হয়েছে, সেই স্মৃতিও রয়ে গেছে তার কাছে।

ভারতের বর্তমান সেরা বোলারদের একজন সিরাজ, বিশেষ করে টেস্টে পেস আক্রমণের বড় ভরসা। গত জুলাই ইংল্যান্ড সফরে চোট সত্ত্বেও তার বোলিং পারফরম্যান্সে ভারত সিরিজ ড্র করে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত আহমেদাবাদ টেস্টে তিনি সাত উইকেট নিয়েছেন।

তবে সব সময় সমান যায় না। ক্যারিয়ারের ঠিকানায় আসতে অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে সিরাজকে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ৩১ বছরীয় পেসার সেই কঠিন সময়ের কথা মনে করলেন।

“আইপিএলে যখন সব ঠিক চলছিল না, আমাকে বাজে ট্রল করা হয়েছে। ভালো খেললে সমর্থকরা বলতেন, ‘সিরাজের মতো কেউ নেই’। আর পারফর্ম করতে না পারলে বলতেন, ‘বাপের সঙ্গে অটো চালাও’। এসবের মানে কী!”

সেই সময় ধোনির পরামর্শ তাকে মানসিকভাবে সহায়তা করেছে।

“ভারতীয় দলে যোগ দেওয়ার পর ধোনি বলেছিলেন, ‘কারও কথায় কান দিও না। তুমি ভালো করলে গোটা দুনিয়া পাশে থাকবে, খারাপ করলে সবাই গালি দেবে’। তখনই বুঝেছিলাম বাইরের প্রশংসা দরকার নেই। আমার দল ও পরিবারের মতই আসল।”

সিরাজ ফিরে গেলেন তার ছোটবেলার দিনগুলোয়। যে পরিবার থেকে উঠে এসেছেন, সেখানে ক্রিকেটার হওয়াও ছিল স্বপ্নের বাইরে। বাবা দিন-রাত অটো চালাতেন, মা হাড়ভাঙা খাটুনি করতেন। সিরাজও টেনিস বল খেলে মাঝে মাঝে কিছু আয় করতেন পরিবারে সাহায্য করার জন্য।

ভারতের হয়ে খেলার স্বপ্নও কল্পনার মধ্যে ছিল না।

“টাকাপয়সা ছিল না। টেনিস বল খেলে যা আয় হতো, বাবা-মার হাতে দিতাম। ভারতের হয়ে খেলব, এটা ভাবাও ছিল না।”

জেলা পর্যায়ে প্রথম বড় টুর্নামেন্টে খেললেও তখনও ক্রিকেট বল হাতে ছিল না, টেনিস বলেই খেলা হতো। একদিন মাঠে তার ওপর নজর পড়ে চারমিনার ক্রিকেট ক্লাবের মালিকের। তিনি তাকে ক্লাবে যোগ দিতে বললেন।

“টাকাপয়সার সমস্যা জানিয়েছিলাম। তিনি বললেন, ‘টেনশনের কিছু নেই, আমরা সব দেব’। সেটিই আমার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।”

প্রথমবার ক্রিকেট বুট পরে বোলিং শুরু করেন। দ্রুতই হায়দরাবাদের ক্লাব ক্রিকেটে নাম কামিয়ে নেন। আইপিএলে নেট বোলার হিসেবে সুযোগ পেয়ে ভিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুলদের সামনে দারুণ বোলিং করেন। ভারতীয় দলের বোলিং কোচ ভারত অরুনের নজরও কেড়েছেন।

রাঞ্জি ট্রফির দলে প্রথম সুযোগ মেলেনি, তবে অরুনের হস্তক্ষেপে সুযোগ পান এবং সর্বোচ্চ উইকেট অর্জন করেন। এরপরের গল্প অনেকেরই জানা। রাঞ্জিতে আলো ছড়িয়ে আইপিএলে নজর কেড়ে ভারতীয় দলে জায়গা পান। এখন ৪২ টেস্টে ১৩০ উইকেট, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়, ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনাল—সবই তার সাফল্যের অংশ।

এখন তিনি তৃপ্ত, “উপরওয়ালা সহায় হয়েছে, নিজে পরিশ্রম করেছি, বাবা-মায়ের দোয়া ছিল।”

সর্বশেষ সংবাদ

আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচ দিয়ে অধিনায়ক উসমান দেম্বেলেকে ফিরে

গত মৌসুমের বড় অংশ চোটের কারণে মাঠের বাইরে কাটানোর

দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে মঙ্গলবার থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা দিবে

ফুটবল

আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচ দিয়ে অধিনায়ক উসমান দেম্বেলেকে ফিরে পাচ্ছে

ফুটবল

গত মৌসুমের বড় অংশ চোটের কারণে মাঠের বাইরে কাটানোর পর

ফুটবল

দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে মঙ্গলবার থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা দিবে বাংলাদেশ

ক্রিকেট

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ড স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে ৬৫ রানে হারিয়েছে। প্রথম ওভারেই