দ্বিতীয় টেস্টেও তিন দিনের মধ্যে হারের শঙ্কায় পড়ে গেছে ক্যারিবিয়ানরা।
দিনের দ্বিতীয় ওভারে রান আউটে আঘাত পান সেঞ্চুরিয়ান ইয়াশাসভি জয়সওয়াল। এরপর দলকে এগিয়ে নেন শুবমান গিল। চমৎকার ব্যাটিংয়ে ভারত অধিনায়কেরও সেঞ্চুরি আসে। পাঁচশ ছাড়ানো বিশাল স্কোর গড়েছে স্বাগতিকরা। পরে ব্যাটিং করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চেপে ধরেন রাভিন্দ্র জাদেজা।
দিল্লি টেস্টে শনিবার ভারত ৫ উইকেটে ৫১৮ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে। জবাব দিতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রানে দিনের খেলা শেষ করে ক্যারিবিয়ানরা। এখনও তারা ৩৭৮ রানে পিছিয়ে আছে।
আগের দিনের ১৭৩ রানের সঙ্গে মাত্র দুই রান যোগ করেই ফিরে যান জয়সওয়াল। তবে শেষ পর্যন্ত খেলেন গিল। ২০ রানে নতুন দিন শুরু করে তিনি খেলেন ১২৯ রানের অপরাজিত ইনিংস, যা সাজানো ২ ছক্কা ও ১৬ চারে।
এটি গিলের টেস্টে দশম সেঞ্চুরি। জুনে অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ১২ ইনিংসে এটি তার পঞ্চম তিন অঙ্কের ইনিংস। ভারত অধিনায়কদের মধ্যে এটি দ্বিতীয় দ্রুততম রেকর্ড। নেতৃত্বের প্রথম ১০ ইনিংসে পাঁচ ফিফটি করেছিলেন সুনিল গাভাস্কার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হারানো চার উইকেটের মধ্যে তিনটি নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার জাদেজা। অন্যটি নিয়েছেন বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার কুলদিপ ইয়াদাভ।
নতুন দিনে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে জয়সওয়ালকে বিদায় করার কয়েক ওভার পর নিতিশ কুমার রেড্ডিককেও ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে তারা সেটি কাজে লাগাতে পারেনি। ২০ রানে জীবন পেয়েও নিতিশ কিছুটা সময় গিলকে সঙ্গ দেন। গিল ৯৫ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন। নিতিশ ৪৩ রান করে ফিরে যান, ভাঙে ৯১ রানের যুগলবন্দি।
এরপর ধ্রুব জুরেলকে নিয়ে গিল শতরানের জুটি গড়ে ১১৭ বলে তিন অঙ্কে পৌঁছান। ইংল্যান্ডে চারটি সেঞ্চুরি করেছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে গিলের পাঁচটি সেঞ্চুরি এক পঞ্জিকাবর্ষে যৌথভাবে সর্বোচ্চ।
জুরেল ৫ চারে ৪৪ রান করে ফেরেন। এরপরই ভারত ইনিংস ঘোষণা করে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসে হানা দেন জাদেজা। নিজের দ্বিতীয় বলে জন ক্যাম্পবেলকে ফেরান। শর্ট লেগে সাই সুদার্শান অসাধারণ ক্যাচ ধরে চমক সৃষ্টি করেন।
শুরুর ধাক্কা সামলে তেজনারাইন চান্দারপল ও আলিক আথানেজ ভালো শুরু পেলেও বড় করতে পারেননি। চান্দারপলকে ফেরান জাদেজা, ৬৬ রানের জুটি ভাঙে। পরের ওভারে আথানেজও ফিরে যান কুলদিপের বলে। রোস্টন চেইসের ফিরতি ক্যাচ নেন জাদেজা।
দিনের বাকি সময়ে উইকেট হারাতে দেননি টেভিন ইমলাচ ও শেই হোপ। ৩৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দিন শেষ হয়। হোপ করেন ৩১, ইমলাচ ১৪ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
- ভারত ১ম ইনিংস: ১৩৪.২ ওভারে ৫১৮/৫ ডিক্লেয়ার (জয়সওয়াল ১৭৫, গিল ১২৯*, নিতিশ ৪৩, জুরেল ৪৪)
- ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৪৩ ওভারে ১৪০/৪ (ক্যাম্পবেল ১০, চান্দারপল ৩৪, আথানেজ ৪১, হোপ ৩১)