টানা তিন ম্যাচে কোনো গোল হজম না করায় স্পেনের রক্ষণভাগকে উচ্ছ্বাসভরে প্রশংসা করেছেন রাইট-ব্যাক পেদ্রো পোরো।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে এখন পর্যন্ত স্পেন কোনো গোল খায়নি। সর্বশেষ ম্যাচে জর্জিয়ার আক্রমণ কার্যত শানাতে দেয়নি তারা। হাতেগোনা কয়েকটি পাল্টা আক্রমণও দক্ষভাবে রুখেছে ‘ইস্পাত কঠিন’ রক্ষণভাগ। সতীর্থদের এমন পারফরম্যান্সে খুশি পোরো।
শনিবার জর্জিয়াকে ২-০ গোলে হারায় স্পেন। এই জয়ের মাধ্যমে ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করার পথে আরও এক ধাপ এগিয়েছে লুইস দে লা ফুয়েন্টের দল। জয়ের দুটি গোল করেন জেরেমি পিনো ও মিকেল ওইয়ারসাবাল।
বাছাইপর্বের তিনটি ম্যাচই জিতেছে স্পেন। শতভাগ পয়েন্ট নিয়ে ‘ই’ গ্রুপে শীর্ষে আছে ২০১০ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এই তিন ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ১১ বার বল পাঠানো হলেও কোনো গোল হজম হয়নি।
জর্জিয়ার লামিনে ইয়ামাল, নিকো উইলিয়ামস ও রদ্রিক মাঠে নেমেও কার্যকর হতে পারেনি। স্পেন ৮০ শতাংশ সময় বলের দখল রাখে এবং একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা রাখে। নিজেদের অর্ধ ছেড়ে দেয়নি স্পেন; গোলের জন্য ২৪টি শট নিয়েছে তারা, যার মধ্যে লক্ষ্যভেদ হয়েছে সাতবার। জর্জিয়ার শট লক্ষ্যভেদ করতে পারেছে মাত্র একবার।
গোলরক্ষক জিওর্জি মামারদাশভিলি এবং রক্ষণভাগের ফুটবলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জর্জিয়ার আক্রমণ ব্যর্থ হয়েছে। ফেররান তেরেসের স্পট-কিকও চমৎকারভাবে থামিয়েছেন মামারদাশভিলি। ডিফেন্ডাররাও একাধিকবার গোললাইন থেকে বল ফিরিয়েছেন।
কয়েকবার জর্জিয়া আক্রমণে উঠে আসলেও তা কার্যকর হয়নি। স্পেনের ‘ইস্পাত কঠিন’ রক্ষণ তাদের কোনো সুযোগই তৈরি করতে দেয়নি।
ম্যাচ শেষে জয়ের উচ্ছ্বাস ব্যক্ত করেন পেদ্রো পোরো। টটেনহ্যাম হটস্পারের এই রাইট-ব্যাক সতীর্থ ডিফেন্ডারদেরও প্রশংসা করেন।
“জিততে পেরে আমরা খুশি। দল আজ সব দিক থেকে ভালো খেলেছে। ওদের পাল্টা আক্রমণগুলো আমরা বেশ ভালোভাবে রুখেছি,” বলেন পোরো।
“রক্ষণভাগের পারফরম্যান্স চমৎকার ছিল। তৃতীয় ম্যাচে কোনো গোল হজম না করা আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মঙ্গলবার আরেকটি কঠিন ম্যাচ আছে।”
মঙ্গলবার ভাইয়াদলিদে স্পেনের প্রতিপক্ষ হবে বুলগেরিয়া।