পাকিস্তান ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব হারানোর দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছেন উইকেটকিপার-ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে ওয়ানডে দলের নেতৃত্বে পরিবর্তনের নানা খবর ঘুরে বেড়াচ্ছিল। এবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতেই সেই জল্পনা যেন সত্যি হওয়ার ইঙ্গিত মিলল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজের জন্য এখনো অধিনায়ক নির্ধারণ করা হয়নি বলে জানায় বোর্ড, যা কার্যত রিজওয়ানের বিদায়ের ঘণ্টা হিসেবে ধরা হচ্ছে।
গত বছর ওয়ানডে দলের দায়িত্ব পান রিজওয়ান। শুরুটা ছিল দুর্দান্ত—অস্ট্রেলিয়ায় স্মরণীয় সিরিজ জয়, এরপর জিম্বাবুয়ের মাটিতে জেতা, এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের মাঠে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাসও গড়ে দলটি।
তবে ২০২৫ সালের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে হেরে যায় পাকিস্তান, এরপর মূল টুর্নামেন্টে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় তারা। মার্চে নিউ জিল্যান্ড সফরে গিয়ে খর্বশক্তির কিউইদের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশড হয়ে ফেরে, আগস্টে আবার সিরিজ হার ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে।
যদিও পিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে রিজওয়ানের নেতৃত্ব নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি, তবে পরিবর্তনের ইঙ্গিত স্পষ্ট। তার ব্যাটিং ফর্ম কিন্তু খারাপ নয়—অধিনায়ক হিসেবে গড়ও সাধারণ সময়ের তুলনায় ভালো। এ বছর পাকিস্তানের হয়ে তার চেয়ে বেশি রান করেছেন কেবল সালমান আলি আগা। ধারণা করা হচ্ছে, দলের সামগ্রিক ব্যর্থতার দায়টাই বর্তেছে রিজওয়ানের কাঁধে।
পাকিস্তান ক্রিকেটে নেতৃত্ব ঘিরে অনিশ্চয়তা নতুন নয়। প্রায়ই নাটকীয় সিদ্ধান্ত দেখা যায় বোর্ডের পক্ষ থেকে। গত বছরই যেমন, চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি মাত্র এক সিরিজ পর শাহিন শাহ আফ্রিদিকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে ফেরান বাবর আজমকে, যিনি পরেও বেশিদিন টিকতে পারেননি। পরে দায়িত্ব পান সালমান আলি আগা, আর এখন তাকেও ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন আলোচনা।
ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব এবার শাহিন আফ্রিদির হাতে যেতে পারে বলে খবর দিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো।
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শান মাসুদ। টেস্ট শেষে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ, যেখানে বাবর আজমকে ফেরানোর গুঞ্জনও চলছে জোরেশোরে। এরপর ৪ নভেম্বর শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজ, যেখানে নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণার অপেক্ষায় সবাই।