শক্তিশালী থাইল্যান্ডের বিপক্ষে আবার মাঠে নামার আগে দলের সবাইকে বাস্তববাদী হতে বলেছেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার জেমস বাটলার।
থাইল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচের জন্য খুব বেশি সময় মেলেনি। তবে প্রথম ম্যাচে হারের পেছনের ভুলগুলো নিয়ে ইতিমধ্যেই কাজ করেছেন বাটলার। যেসব খেলোয়াড় ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন, তাদের কাছেই আরও বেশি প্রত্যাশা রাখেন এই ইংলিশ কোচ।
দ্বিতীয় ম্যাচে সোমবার থাইল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচের পর কিছু খেলোয়াড়ের মানসিকতা নিয়ে তীর্যক সমালোচনা করেছিলেন বাটলার, যদিও নির্দিষ্ট কারো নাম উল্লেখ করেননি।
এবার তার ক্ষোভ কিছুটা কমেছে। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের (১০৪তম) তুলনায় থাইল্যান্ড (৫৩তম) অনেক এগিয়ে, এবং মানের দিক থেকেও দুই দলের ফারাক স্পষ্ট।
বাটলার বলেন, “আমরা থাইল্যান্ডের পর্যায়ে নেই। এ সত্যিটা আমাদের স্বীকার করতে হবে। তারা খুব ভালো দল এবং সেটি মাঠে দেখাবেই। তারা সম্ভবত পুরো ভিন্ন এক দল নিয়ে নামবে। তাদের বেঞ্চ দেখলেই বোঝা যায়, এখানে আরেকটা শক্তিশালী দল আছে। তাই আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে। যদি আমরা মানদণ্ড গড়ার এবং আরও পেশাদার হতে চাই, বড় কিছু কল্পনা করার আগে সেই জায়গায় পৌঁছাতে হবে যেখানে থাইল্যান্ডের মতো দলকে হারানোর কথা ভাবা যায়।”
তিনি আরও বলেন, “কিছুটা পরিবর্তন এনেছি আমাদের পদ্ধতিতে। কিছু জায়গায় ঘাটতি রয়েছে, তা পূরণ করতে হবে। আগের ম্যাচে মেয়েরা ভালো ফুটবল খেলেছে, তাই আমি সন্তুষ্ট। তবে মৌলিক কিছু ভুল হয়েছিল—যেমন প্রথম ৪৫ সেকেন্ডে গোল হজম করা, যা চাপ বাড়ায়। অনুশীলনে মেয়েদের মানসিকতা খুবই ভালো ছিল।”
এ সফরের আগে বাংলাদেশের সর্বশেষ থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের ফল ছিল ৯-০ হারের মতো। এবারের শুরুও সেই স্বাদের ছিল। তবে সফরের শেষটা ভালো করার জন্য অভিজ্ঞদের কাছে নিজের ও দলের প্রত্যাশা জানিয়েছে কোচ।
তিনি বলেন, “কয়েকজনের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেছি। তাদের এপ্রোচ ও মাইন্ডসেট নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। বিশেষ করে এমন এক-দুজন আছেন, যাদের আমি সত্যিকারের ম্যাচ উইনার মনে করি, কিন্তু প্রথম ম্যাচে তারা সামর্থ্য দেখাতে পারেনি। দেশে কখনও কখনও কি চাই, তা নিয়ে সাবধান থাকতে হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা একটি মোমেন্টাম তৈরি করছি। কয়েকজন নতুন খেলোয়াড় কেবল দু’দিন অনুশীলন করেছে, যারা দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।”
বাটলার যোগ করেন, “অবশ্যই আমরা তাদের সমস্যায় ফেলতে পারব। আমি বাস্তবে বাস করি, কল্পনার জগতে নয়। চাই মানুষ কিছু বলার আগে ভাবুক। চায়নিজ তাইপের পর ঘরের মাঠে খেলিনি, তাই দেশের বাইরে জেতা নিয়ে কথা বলা যায়। খেলায় অনেক কিছুই ঘটে, যা ফলাফলে প্রভাব ফেলে। আমি কাউকে দোষ দিই না, অজুহাতও দিই না। তবে দেশের বাইরে জেতার চেয়ে ঘরের মাঠে জেতা অনেক সহজ।”
