সিলেট টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে জয়ের পথে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।
ইনিংসের ব্যবধানেই বড় জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছে টাইগাররা। ইনিংস হারের ঝুঁকি এড়াতে আয়ারল্যান্ডের প্রয়োজন ২১৫ রান, তবে তাদের হাতে মাত্র ৫টি উইকেট রয়ে গেছে।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ঘোষণা করে ৮ উইকেটে ৫৮৭ রান। এটি টেস্টে বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ এবং দেশের মাটিতে সর্বোচ্চ।
আয়ারল্যান্ড বৃহস্পতিবার দিনশেষে ৫ উইকেটে ৮৬ রানে অবস্থান করছে।
দিন শুরু হয় বাংলাদেশ ১ উইকেটে ৩৩৮ রানে। তবে দ্রুত হারায় আগের দিনের অপরাজিত দুই ব্যাটসম্যানকে—মাহমুদুল হাসান জয় ১৬৯ রানের সঙ্গে আরও ২ রান যোগ করতে পারেন, আর মুমিনুল হক ৮০ রানের সঙ্গে ২ রান যোগ করতে পারেন। দুর্দান্ত দুটি ডেলিভারিতে দুজনকেই আউট করেন ব্যারি ম্যাককার্থি।
এরপর ৭৯ রানের জুটি গড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। ৯৯তম টেস্ট খেলতে নামা মুশফিক মাত্র ২৩ রানে আউট হন ম্যাথু হামফ্রিজের দারুণ ডেলিভারিতে।
লিটন কুমার দাসের সঙ্গে শান্তর জুটিতে আসে ৯৮ রান। ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৬৬ বলে ৬০ রান করে লিটন বিদায় নেন হ্যারি টেক্টরের অসাধারণ ক্যাচে।
শান্ত শতরানে পৌঁছান ১১২ বলে ১৪ চারে। এটি তার ৩৮ টেস্টে অষ্টম সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরি করেই শেষ হয় তার ইনিংস। এরপর আর কোনো ব্যাটার উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারেননি। লিড তিনশ ছাড়িয়ে ইনিংস ঘোষণা করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
আয়ারল্যান্ড ব্যাটিংয়ে নেমেই ধাক্কা খায়। নাহিদ রানা বোল্ড করেন কেড কারমাইকেলকে (৫)। ভালো খেলতে থাকা পল স্টার্লিংকে (৪৩) রান আউট করেন শান্ত। এরপর তাইজুল ইসলামের শিকার হেরি টেক্টর (১৮) হন। হাসান মুরাদের বলে সাদমান ইসলামের দারুণ ক্যাচে ফেরেন কার্টিস ক্যাম্ফার। অভিষিক্ত বাঁহাতি স্পিনার লর্কান টাকারকেও ফেরান।
প্রথম ইনিংসে ওপেন করা আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি এ দিন ব্যাটিং করেননি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
- আয়ারল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২৮৬
- বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৫৮৭/৮ (ডিক্লারেশন, ১৪১ ওভার)
- আয়ারল্যান্ড ২য় ইনিংস: ৮৬/৫ (২৯ ওভার)
বাংলাদেশ ইনিংস ব্যবধানে জয়ের পথে, আর টাইগারদের লক্ষ্য সফল সমাপ্তি।