২০২৪ সালেই ম্যানচেস্টার সিটি ছাড়ার চেষ্টা করেছিলেন এদেরসন।
বারবার চোটে আঘাত এবং পারফরম্যান্সে ছন্দহীনতার কারণে ম্যানচেস্টার সিটিতে শেষ সময়ে যথেষ্ট কষ্ট পেতেন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক। এ কারণে, গত বছরই তিনি ক্লাব ছাড়ার চেষ্টা করেছিলেন।
ম্যানচেস্টার সিটিতে আটটি সফল বছর কাটানোর পর প্রায় এক কোটি ২০ লাখ পাউন্ড ট্রান্সফার ফিতে তুর্কি ক্লাব ফেনেরবাচেতে যোগ দেন এদেরসন।
২০১৭ সালে পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকা থেকে সিটিতে আসার পর, এদেরসন ক্লাবের হয়ে জিতেছেন ১৮টি ট্রফি। এর মধ্যে রয়েছে ছয়টি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা এবং একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। এছাড়া তিনবার প্রিমিয়ার লিগে সেরা গোলরক্ষক হিসেবে ‘গোল্ডেন গ্লোভ’ পুরস্কারও জিতেছেন তিনি।
তবে শেষ দুই মৌসুমে বারবার চোটের কবলে পড়তে হয় তাকে। ২০২৩-২৪ মৌসুমে তিন দফার চোটে মোট ১৬টি ম্যাচ খেলতে পারেননি, আর গত মৌসুমে চার দফার চোটে ১০টি ম্যাচ মিস করেন। একের পর এক চোট তার পারফরম্যান্সকেও প্রভাবিত করেছে।
এরপর ঠিকানা বদলান এদেরসন। বর্তমানে আন্তর্জাতিক ফুটবলে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলার জন্য জাতীয় দলের সঙ্গে রয়েছেন তিনি।
আগামী শনিবার সেনেগালের বিপক্ষে মাঠে নামবে ব্রাজিল। এর আগে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে পেছনের দিনগুলো নিয়ে খোলাসা করেন ৩২ বছর বয়সী গোলরক্ষক।
“গত মৌসুমেই আমি ক্লাব ছাড়ার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। মনে হয়, এটা আমার পারফরম্যান্সকেও কিছুটা প্রভাবিত করেছিল। মৌসুমে আমি পাঁচটি চোটে ভুগেছি এবং নিজের সেরাটা দিতে পারিনি,” তিনি বলেন।
তিনি আরও যোগ করেন, “পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম—যদি ক্লাব রাজি থাকে, আমি চলে যাব। পরিবর্তন আমার জন্য প্রয়োজন ছিল। সুখী না থাকলে বড় ক্লাবেও থাকার কোনো লাভ নেই।”
এদেরসন মনে করেন, মাঝে মাঝে ক্যারিয়ারে নতুন চ্যালেঞ্জ নেওয়া দরকার।
“জীবনে ও ক্যারিয়ারে নতুন চ্যালেঞ্জ প্রয়োজন। এই পরিবর্তনের পর আমি আবার ফুটবল উপভোগ করছি, তুরস্কে ম্যাচের সময়ের উন্মত্ত আবহ উপভোগ করছি। এই নতুন চ্যালেঞ্জে আমি খুবই খুশি এবং জয়ের জন্য উদগ্রীব।”
ব্রাজিল ইতোমধ্যে ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা নিশ্চিত করেছে। সেনেগাল ম্যাচের পর বুধবার তারা তিউনিসিয়ার সঙ্গে খেলবে।