প্রথম ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাত্র ৭ রানে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড।
অসম গতির উইকেটে, সুইং ও মুভমেন্ট থাকা সত্ত্বেও ব্যাট হাতে দারুণ লড়াই দেখালেন ড্যারিল মিচেল। তার অসাধারণ সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ড চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়ে। লক্ষ্য তাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজও ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখাল, তবে শেষ পর্যন্ত তারা আর টিকতে পারলো না।
ক্রাইস্টচার্চে রোববারের ম্যাচে টস হেরে ২৬৯ রানের পুঁজি গড়ে নিউজিল্যান্ড, প্রতিপক্ষকে ২৬২ রানে থামিয়ে জয় নিশ্চিত করে।
ড্যারিল মিচেল তার সপ্তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ১১৯ রানে। ১১৮ বলের ইনিংসে তার ২টি ছক্কা ও ১২টি চারের মাধ্যমে ব্যাটিংয়ে আলোর ঝলক দেখান। কিউই দলে তার ফিফটির কাছাকাছি কোনো ব্যাটসম্যান পৌঁছাতে পারেনি। ডেভন কনওয়ে ৪৯ রান করে দলের সাফল্যে অবদান রাখেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শেরফেন রাদারফোর্ডই ফিফটি স্পর্শ করেন, তিনটি করে ছক্কা ও চারে ৫৫ রান করে। বাকি সবাই ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো করলেও বড় সংগ্রহ করতে পারেনি।
নিউজিল্যান্ডের জেডেন সিলস ও কাইল জেমিসন তিনটি করে উইকেট নেন। ম্যাচের সপ্তম ওভারে নিউজিল্যান্ড জোড়া ধাক্কা খায়, পরপর দুই বলে রাচিন রাভিন্দ্রা ও উইল ইয়াংকে আউট করেন ম্যাথু ফোর্ড। এরপর মিচেল কনওয়ের সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে টানেন।
৬১ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন মিচেল। তিন অঙ্কের রানের লড়াই শেষ পর্যন্ত সফল হয়, এবং তার চমৎকার ইনিংসে সিলসকে মিড উইকেটে ধরা পড়ে। শেষ দিকে জ্যাকারি ফোকস ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরুটা ভালো করলেও জন ক্যাম্পবেল ৪ রানে আউট হয়ে যান। আথানেজ ও কার্টির ৬০ রানের যুগলবন্দি শুরুয়াতের ধাক্কা কাটিয়ে দল এগোতে থাকে। শেষ পর্যন্ত তিন ওভারে ৪৫ রান দরকার থাকলেও শেষ ৬ বলে ১২ রান করতে পারে তারা।
দ্বিতীয় ওয়ানডে হবে আগামী বুধবার, ন্যাপিয়ারে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
- নিউজিল্যান্ড: ২৬৯/৭ (৫০ ওভারে) (মিচেল ১১৯, কনওয়ে ৪৯, ব্রেসওয়েল ৩৫*, ফোকস ২২*)
- ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৬২/৬ (৫০ ওভারে) (রাদারফোর্ড ৫৫, হোপ ৩৭, কার্টি ৩২, আথানেজ ২৯)
ফলাফল: নিউজিল্যান্ড ৭ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: ড্যারিল মিচেল
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে নিউজিল্যান্ড ১-০ এগিয়ে