বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটার মুশফিকের মতো ১০০ টেস্ট খেলার জন্য ২০ বছর অপেক্ষা করতে হবে না, মনে করেন কোচ ফিল সিমন্স।
মুশফিকুর রহিমের টেস্ট ক্যারিয়ার চলেছে সাড়ে ২০ বছর। কিন্তু তাঁর পরে যে কেউ এই মাইলফলক ছুঁতে পারে, সেটি এত সময় নেবে না বলে ধারণা করেন বাংলাদেশ কোচ।
২০০৫ সালের মে মাসে শুরু হয় মুশফিকের ক্যারিয়ার। বুধবার তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে পৌঁছাচ্ছেন অনন্য এক ঠিকানায়—দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলার গৌরব অর্জন করতে যাচ্ছেন।
এই সেঞ্চুরি ছুঁতে মুশফিককে দুই দশকের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য ক্রিকেটাররা তার চেয়ে কম সময়েই বেশি টেস্ট খেলে অবসরে চলে গেছেন। মুশফিকের ক্ষেত্রে টেস্ট খেলার সুযোগ সীমিত ছিল—তার ক্যারিয়ারের শুরুতে এমন তিনটি ভিন্ন বছরে বাংলাদেশের দল কেবল দুটি করে টেস্ট খেলেছে। এমনকি তিন–চার–পাঁচটি ম্যাচ খেলার বছরও খুব কম ছিল।
যে কারণে ২০ বছরের বেশি সময় ধরে লড়াই করতে হয়েছে, তবেই আজ তিনি ১০০ টেস্ট খেলার মর্যাদা পেয়েছেন। কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে—মুশফিকের পরে কে এই মাইলফলক ছুঁতে পারবেন?
মুশফিকের শততম টেস্টের আগে ফিল সিমন্স বললেন, “এখনকার ক্রিকেটারদের জন্য সুযোগ অনেক বেশি। আগামী বছর আমরা প্রায় ১২টি টেস্ট খেলতে যাচ্ছি, যা আগে কখনো হয়নি। কেউ যদি ধারাবাহিকভাবে খেলতে থাকে, বিকশিত হয় এবং নিয়মিত পারফর্ম করে, তবে মুশফিকের চেয়ে দ্রুত ১০০ টেস্ট খেলতে পারবে।”
তিনি আরও যোগ করলেন, “এখন আর ১০০ টেস্ট খেলতে কারও ২০ বছর লাগবে না। প্রতি বছর ম্যাচের সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক বেশি। যারা নিয়মিত খেলে, ফিট থাকে এবং উন্নতি করে, তারাই ১০০ টেস্টে পৌঁছাতে পারবে।”
মুশফিকের পরে ১০০ টেস্ট খেলার সম্ভাবনায় আপাতত এগিয়ে আছেন মুমিনুল হক। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট হবে তার ৭৫তম। মুমিনুলের বয়স ৩৪। ৩৩ বছর বয়সী তাইজুল ইসলাম খেলেছেন ৫৬ টেস্ট। মেহেদী হাসান মিরাজ খেলেছেন ৫৫। বয়স মাত্র ২৮, তাই ফর্ম, ফিটনেস ও তাড়না থাকলে তার সুযোগও আছে।
৩১ বছর বয়সী লিটন কুমার দাস খেলেছেন ৫১ টেস্ট। নাজমুল হোসেন শান্ত এখনো ৩৮ টেস্ট খেলেছেন, তবে টেস্টের প্রতি তার নিবেদন ও ভালোবাসা তাকে একদিন ১০০ টেস্টের স্বপ্ন পূরণে পৌঁছে দিতে পারে।