এক ম্যাচ হাতে রেখেই ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলেছে নিউ জিল্যান্ড। শেষ তিন ওভারে দরকার ছিল ৪০ রান—কঠিন হলেও অসম্ভব ছিল না। ঠিক সেই মুহূর্তেই মিচেল স্যান্টনার বড় শটে খেলাকে সহজ করে দেন। পরের দুই ওভারে দুটি ছক্কা ও তিনটি চার মেরে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন তিনি। এর আগেই রান তাড়ায় ঠিক পথ দেখান ডেভন কনওয়ে, যিনি নব্বই ছুঁইছুঁই এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। কয়েকজনের কার্যকর অবদানে তিন বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় কিউইরা। শেই হোপের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি তাই বিফলই থেকে যায়।
নেপিয়ারে বুধবার বৃষ্টির কারণে ম্যাচ নেমে আসে ৩৪ ওভারে। এমন ম্যাচে হোপ প্রায় একাই লড়াই করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে যান ২৪৭ রানে। চার নম্বরে নেমে ১৩ চার ও ৪ ছক্কায় মাত্র ৬৯ বলে অপরাজিত ১০৯ রান করেন তিনি। দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল মাত্র ২২—তাও তিনজনের।
জবাবে কনওয়ে ও রাচিন রাভিন্দ্রার শতরানের জুটিতে শক্ত ভিত পায় নিউ জিল্যান্ড। পরে ষষ্ঠ উইকেটে ২৭ বলে ৫৪ রানের ঝড়ো জুটিতে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন টম ল্যাথাম ও স্যান্টনার। ১৩ চার ও এক ছক্কায় ৮৪ বলে ৯০ রান করেন কনওয়ে। রাভিন্দ্রা ৫টি ছক্কা ও ৪টি চারে খেলেন ৪৬ বলে ৫৬। আর শেষদিকে ল্যাথাম (২৯ বলে ৩৯*) ও স্যান্টনার (১৫ বলে ৩৪*) অপরাজিত থেকে জয় নিশ্চিত করেন। যদিও দল হেরেছে, ম্যাচসেরা হয়েছেন সেঞ্চুরিয়ান হোপ।
শুরুর দিকটা নিউ জিল্যান্ডের জন্য মন্থরই ছিল—প্রথম পাঁচ ওভারে মাত্র ১৩ রান, দশ ওভারে ৪৪। এরপরই বাড়ে রানের গতি। এক ওভারে দুটি ছক্কা মারেন রাভিন্দ্রা, পরের ওভারে আরেকটি ছক্কায় ফিফটি ছোঁন ৪২ বলে। তবে তাকে থামিয়ে ১০৬ রানের জুটি ভাঙেন জাস্টিন গ্রেভস। উইল ইয়াং, মিচেলের জায়গায় সুযোগ পাওয়া চ্যাপম্যান ও মাইকেল ব্রেসওয়েলও ভালো করতে পারেননি।
৭ নম্বরে নেমে যখন খেলতে আসেন স্যান্টনার, তখন দরকার ২৯ বলে ৫৪ রান। এরপরই শুরু হয় কিউই অধিনায়কের তাণ্ডব। ম্যাথু ফোর্ডের এক ওভারে তিন বলে দুটি চার ও একটি ছক্কায় ১৮ রান। পরের ওভারের প্রথম দুই বলে স্প্রিঙ্গারকে চার-ছক্কা। শেষ ওভারে চাই ৮—কিন্তু সিলসের বিমারে ল্যাথামের চারেই সমীকরণ সহজ হয়ে যায়। দুই সিঙ্গলে শেষ হয় ম্যাচ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজও শুরুর দিকে ভুগেছে। বৃষ্টির কারণে দেরিতে শুরু হওয়া ম্যাচে প্রথম পাঁচ ওভারে মাত্র ১৫ রান। এরপর জন ক্যাম্পবেলকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন কাইল জেমিসন। তারপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তেই থাকে। হোপ একা দাঁড়িয়ে লড়াই করেন—৪২ বলে ফিফটি, আর শেষ ওভারে জেমিসনকে ছক্কা মেরে ৬৬ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১৯তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি।
ন্যাথান স্মিথ ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে ৪২ রানে ৪ উইকেট নেন।
আগামী শনিবার হ্যামিল্টনে শেষ ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে এখন হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর চ্যালেঞ্জ।