মিরপুর টেস্টের শেষ দিনে আয়ারল্যান্ড দারুণ প্রতিরোধ গড়ে দিয়ে বাংলাদেশকে বেশ ঝুঁকিতে ফেলে রেখেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত মাঠে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
চতুর্থ ইনিংসে কোনো সফরকারী দল মিরপুরে আগে কখনও ১০০ ওভার খেলেনি, আবার ২৫০ রানও করতে পারেনি। এবার তা করতে পেরেছে আয়ারল্যান্ড। বীরোচিত ব্যাটিং পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে শেষ দিনে বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে ফেলে রেখেছিল তারা। তবে আইরিশ প্রতিরোধ ভেঙে জয় নিশ্চিত করেছে নাজমুল হোসেন শান্তের দল।
শেষ দিনে আয়ারল্যান্ডের ব্যাটিং ৫৯.৩ ওভারে পৌঁছেছে। তাদের ইনিংস শেষ হয় ১১৩.৩ ওভারে ২৯১ রানে। এর আগে মিরপুর চতুর্থ ইনিংসে সফরকারী দলের সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড ছিল ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার ২৪৪ রান। সবচেয়ে বেশি ওভার ছিল ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের ৮৩.১।
বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণে তাইজুল ইসলাম বিশেষ ভূমিকা রাখেন। আগের দিনই তিনি দেশের সর্বোচ্চ উইকেট রেকর্ড স্পর্শ করেছিলেন। শেষ দিনে দেশের প্রথম বোলার হিসেবে ২৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ৫৭ টেস্টে এই মাইলফলকে পৌঁছে বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে দ্রুততম হিসেবে তিনি রাঙ্গানা হেরাথের বিশ্ব রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেন।
শেষ দিনে তার অর্জন চারটি উইকেট। এছাড়া হাসান মুরাদও চারটি উইকেট নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন। আয়ারল্যান্ডের নবম উইকেট জুটি যখন বাংলাদেশের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করছিল, তখন তিনি দুই বলে শেষ দুই উইকেট তুলে নেন।
দিনের শুরুতে আয়ারল্যান্ড ৬ উইকেটে ১৭৬ রান নিয়ে ব্যাটিং শুরু করে। কার্টিস ক্যাম্ফার ও অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন ২০৫ বলে ২৬ রানের জুটি গড়ে দলের সব আশা ধরে রাখেন। পরবর্তীতে জর্ডান নিল ও ক্যাম্ফারের জুটি দীর্ঘ সময় আয়ারল্যান্ডকে খেলা চালিয়ে যেতে সাহায্য করে।
শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ জয় নিশ্চিত করে। ক্যাম্ফার ৭১ রানে অপরাজিত থাকলেও দলের লড়াই থেমে যায় না। মিরপুর চতুর্থ ইনিংসে এত বেশি বল খেলার রেকর্ডও ভাঙেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
- বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৪৭৬
- আয়ারল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২৬৫
- বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ২৯৭/৪ (ডি.)
- আয়ারল্যান্ড ২য় ইনিংস: ১১৩.৩ ওভারে ২৯১ (ক্যাম্ফার ৭১*, ম্যাকব্রাইন ২১, নিল ৩০, হোয়ে ৩৭, হামফ্রিজ ০; ইবাদত ১১-৩-২৯-০, তাইজুল ৪০-৭-১০৪-৪, খালেদ ১২-০-৪৫-১, মিরাজ ২৭-১১-৪৯-১, মুরাদ ২২.৩-১১-৪৪-৪, মুমিনুল ১-০২-০)
ফল: বাংলাদেশ ২১৭ রানে জয়ী
সিরিজ: দুই ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জয়ী বাংলাদেশ
ম্যান অব দা ম্যাচ: মুশফিকুর রহিম