প্রতি ম্যাচেই বোলার কম নিয়ে খেলতে হচ্ছে শ্রীলঙ্কাকে। আর বোলার বাড়াতে গেলে ভুগতে হচ্ছে ব্যাটিংয়ে।
এশিয়া কাপের সম্ভাবনা এখন ঝুলছে সুতোয়। অঙ্কের হিসাব যতটা বাকি আছে, সেটিকে উপেক্ষা করছেন চারিথ আসালাঙ্কা। তিনি এখন পুরো মনোযোগ দিয়েছেন বিশ্বকাপের দিকে। দলীয় ভারসাম্যের সমস্যাকেই দেখছেন মূল উদ্বেগের কারণ হিসেবে।
গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচেই জয়ী শ্রীলঙ্কা সুপার ফোরে হেরে গেছে প্রথম দুই ম্যাচে। বাংলাদেশের কাছে হারের পর পাকিস্তানের বিপক্ষেও হেরে বিদায়ের পথ প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের।
এই দুই ম্যাচেই প্রকট হয়ে উঠে দলীয় ভারসাম্যের সমস্যা। বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের একাদশে কার্যত তিনজনই ছিলেন বিশেষজ্ঞ বোলার। চতুর্থ ও পঞ্চম বোলারের দায়িত্ব সামলেছেন দুনিথ ওয়েলালাগে, দাসনি শানাকা ও কামিন্দু মেন্ডিস। আর তার খেসারত দিতে হয়েছে দলকে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে তাই কৌশলে পরিবর্তন আনতে হয় লঙ্কানদের। ব্যাটসম্যান কামিল মিশারার বদলে নেওয়া হয় পেস বোলিং অলরাউন্ডার চামিকা কারুনারাত্নেকে। এতে একজন ব্যাটসম্যান কমে যায় এবং শ্রীলঙ্কা হারায় মূলত ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে।
দেশের মাঠে বিশ্বকাপ বাকি আছে মাত্র সাড়ে চার মাসের মতো।
“কম্বিনেশন নিয়ে আমাদের অনেক সমস্যা আছে এবং বিশ্বকাপের আগে এটি ঠিকঠাক করতে হবে। আজ আমরা চেষ্টা করেছি একজন বাড়তি বোলার নিয়ে খেলতে। এর ফলে একজন বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান কমে গেছে এবং প্রয়োজনীয় রান তুলতে পারিনি। অন্য সময়ে আমরা বাড়তি ব্যাটসম্যান নিয়েছি, কিন্তু বল হাতে প্রতিপক্ষকে আটকাতে পারিনি।”
“আমাদের বের করতে হবে কীভাবে নিয়মিত ১৮০-২০০ রান তোলা যায় এবং অনিয়মিত বোলারদের—আমি, দাসুন, কামিন্দু—কীভাবে আরও ভালোভাবে কাজে লাগানো যায়। এ জায়গায় আমাদের উন্নতি করতে হবে।”
পাকিস্তানের বিপক্ষে পাওয়ার প্লেতে শ্রীলঙ্কা তিন উইকেট হারায়। তবুও রান রেট ছিল ভালো। তবে অষ্টম ওভারে পরপর দুই বলে আউট হন আসালাঙ্কা ও দাসুন শানাকা। লঙ্কান অধিনায়কের মতে, সেখানেই সর্বনাশ ঘটে।
“যদিও ওপেনারদের কাছ থেকে ভালো শুরু পাইনি, তবুও পাওয়ার প্লেতে শেষ ৫৩ রান তুলেছি। তিন উইকেট হারালেও ভালো অবস্থায় ছিলাম। তবে আমি ও দাসুন টানা দুই বলে আউট হওয়ায় সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়।”
“আমরা দুজনেই বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হইনি। আমি পুল শট খেলছিলাম ফাঁকা জায়গায়, কিন্তু বল লাগে ব্যাটের ওপরের দিকে। দাসুন সাধারণ একটি শট খেলেছে, শুরুতে সবাই যেমন খেলে। তবে দায় আমাদেরকেই নিতে হবে।”
বুধবারের ম্যাচে ভারতের কাছে হেরে গেলে শ্রীলঙ্কার বিদায় নিশ্চিত হবে। এরপর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ রূপ নেবে সেমি-ফাইনালে।
