BN

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মেয়েদের খেলার সারসংক্ষেপ

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মেয়েদের খেলার সারসংক্ষেপ

আইসিসি নারী বিশ্বকাপ ২০২৫-এ বাংলাদেশের যাত্রা শেষ হলো নির্ধারিত ফল ছাড়া। রোববার

আইসিসি নারী বিশ্বকাপ ২০২৫-এ বাংলাদেশের যাত্রা শেষ হলো নির্ধারিত ফল ছাড়া। রোববার লিগ পর্বের শেষ দিনে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যায়। তবে খেলার সেই মুহূর্তে আসা বৃষ্টি ভারতের জয়কে উড়িয়ে দিয়েছে, আর বাংলাদেশ পেয়েছে অন্তত এক পয়েন্ট, যা তাদের পয়েন্ট তালিকায় কিছুটা উপরে ওঠার সুযোগ দিয়েছে।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া নারী বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-ভারতের ম্যাচ ছিল লিগ পর্বের শেষ। পয়েন্ট ভাগাভাগির পর বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। পাকিস্তান দলের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে থাকার কারণ হলো জয় সংখ্যা। দুই দলের পয়েন্ট সমান হলেও, বাংলাদেশ এক ম্যাচে জিতেছিল—ওই জয়ই তাকে পাকিস্তানের উপরে রাখে।

প্রত্যাশা ও প্রস্তুতি

বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে ঢাকা থেকে একটি সংবাদ সম্মেলনে কোচ সারওয়ার ইমরান বলেছিলেন, “আমাদের দুটি ম্যাচে ভালো সুযোগ আছে—পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। আমরা কাউকে ছোট করে দেখছি না, প্রতিটি ম্যাচই জেতার জন্য খেলব।”
অধিনায়ক নিগার সুলতানাও আশাবাদী ছিলেন, কিন্তু তিনি স্বীকার করেছেন, আন্তর্জাতিক ম্যাচ অভাবের কারণে দল পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল না। ২০২৪ সালের শুরু থেকে অস্ট্রেলিয়া ব্যতীত বড় কোনো দলের সঙ্গে ম্যাচ হয়নি, যা বড় টুর্নামেন্টের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির ঘাটতি তৈরি করেছে।

শুরুটা আনন্দময়

২ অক্টোবর পাকিস্তানের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে ম্যাচে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী হয়। মারুফা আক্তারের দুর্দান্ত ব্যাটিং ও বোলিংয়ে প্রথম ওভারেই পাকিস্তানের দুটি উইকেট তুলে নেন। ১৩০ রানের লক্ষ্য মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ জয় নিশ্চিত করে, এবং প্রথম ম্যাচেই দলের স্বপ্ন বড় করে।

স্বপ্নভঙ্গ ও বিতর্কিত মুহূর্ত

বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ১৭৮ রানের ভালো স্কোর করার পরও ম্যাচে হেরে যায় বাংলাদেশ, মূলত আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ও হিদার নাইটের অপরাজিত ইনিংসের কারণে। গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচগুলো মিস হওয়াও হতাশার কারণ।

জয় হাতছাড়া ও ব্যাটিংয়ের চাপ

দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ জয়ের খুব কাছে গিয়েও হেরে যায়। দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দুটি ক্যাচ মিস এবং শেষ মুহূর্তে স্বর্ণার হাতছাড়া ক্যাচ জয় হাতছাড়া করে দেয়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৭ রানে হেরে যাওয়া বাংলাদেশের চূড়ান্ত আক্ষেপের মুহূর্ত।

ব্যাটিং ও বোলিং বিশ্লেষণ

বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে চাপ সামলাতে ব্যর্থ হয়। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের স্ট্রাইক রেট ৫৬.৮৬, যা আট দলের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। তবে ফিফটির সংখ্যা ৭টি, যা তৃতীয় সর্বোচ্চ। স্বর্ণা আক্তারের দ্রুততম ফিফটি বাংলাদেশের নারী ওয়ানডে ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য।

বোলিংয়ে মারুফা আক্তার ও দলের স্পিনাররা ভালো ছাপ রেখেছেন। ইকোনমিতে বাংলাদেশের অবস্থান লিগ পর্বে দ্বিতীয় সেরা (৪.৬১) এবং মেডেনের ক্ষেত্রে ২৩টি। উইকেট সংখ্যায় বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম, শুধুমাত্র শ্রীলঙ্কার চেয়ে সামান্য এগিয়ে।

শেষ অবস্থা

মারুফা ও স্বর্ণার ঝলক এবং জয় কাছাকাছি গিয়ে হারের মুহূর্তগুলো সত্ত্বেও, দিনের শেষে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অর্জন বোঝায় পয়েন্ট তালিকায় সপ্তম অবস্থান। ২০২২ সালে প্রথম অংশগ্রহণের মতো এবারও বাংলাদেশের ফল একই—একটি জয়, দুই পয়েন্ট, সপ্তম স্থান।

সর্বশেষ সংবাদ

বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের বেশির ভাগ ক্রিকেটার কিছুটা পিছিয়েছেন। তবে

এক ম্যাচ হাতে রেখেই ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলেছে

বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলার দিনে

ক্রিকেট

বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের বেশির ভাগ ক্রিকেটার কিছুটা পিছিয়েছেন। তবে ব্যাটসম্যানদের

ক্রিকেট

এক ম্যাচ হাতে রেখেই ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলেছে নিউ

ক্রিকেট

বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলার দিনে মাত্র

ক্রিকেট

নিউ জিল্যান্ডের কেবল দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে অনন্য কীর্তি গড়লেন ড্যারিল