ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে ১১৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেললেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ফিবি লিচফিল্ড।
ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে মিড-অফের ওপর দিয়ে বল বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে সেঞ্চুরিতে পৌঁছান লিচফিল্ড। দৌড়ে এসে তাকে আলিঙ্গন করেন এলিস পেরি, আর মাঠের বাইরের সতীর্থরাও দাঁড়িয়ে অভিনন্দন জানান। ব্যাট-হেলমেট উঁচিয়ে আনন্দে সাড়া দেন ২২ বছর বয়সী বাঁহাতি ওপেনার।
নাভি মুম্বাইয়ে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত উইমেন’স বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে লিচফিল্ড খেলেন ৯৩ বলের ১১৯ রানের ইনিংস, যা সাজানো ছিল ৩টি ছক্কা ও ১৭টি চারে। ওয়ানডেতে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি, এবং বিশ্বকাপে প্রথমবার তিন অঙ্কের রান সংগ্রহ করেন তিনি।
এই সেঞ্চুরির মাধ্যমে লিচফিল্ড বিশ্বকাপ নকআউট ম্যাচে সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে শতক করার রেকর্ড গড়লেন। এছাড়া, তিনি বিশ্বকাপ ইতিহাসে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটারও হলেন।
অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে বিশ্বকাপ নকআউট ম্যাচে তার ইনিংসটি তৃতীয় সর্বোচ্চ। প্রথম দুটো ইনিংসের রেকর্ড ধারণ করেছিলেন অ্যালিসা হিলি—২০২২ সালের সেমি-ফাইনালে ১২৯ এবং ফাইনালে ১৭০ রান।
ম্যাচের শুরুতে হিলি দলের ভালো শুরু দিতে পারেননি। ষষ্ঠ ওভারে ক্রান্তি গৌড়ের বলে ৫ রানে বোল্ড হন তিনি। তবে লিচফিল্ড শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে ক্রান্তির করা বল থেকে দুটি চার মেরে তিনি রানের খাতা খোলেন।
দ্রুতগতিতে রান তুলে চলা লিচফিল্ড ৪৫ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন। এরপর আরও আগ্রাসী হয়ে তৃতীয় ওভারে তিনটি চার মারেন। ২৪তম ওভারে ৭৭ বল খেলে তিন অঙ্কের ঠিকানায় পৌঁছান তিনি। ফিফটি থেকে সেঞ্চুরি করার জন্য লিচফিল্ডকে কেবল ৩২ বলের প্রয়োজন হয়েছিল।
সেঞ্চুরির পর দীপ্তি শার্মাকে টানা দুটি ছক্কায় উড়িয়ে দেন লিচফিল্ড। পরের ওভারে আমানজোর কৌরের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন।
এই বিশ্বকাপে লিচফিল্ডের শুরু হয় নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৫ রানের ইনিংস দিয়ে। এরপর ভারতের বিপক্ষে করেন ৪০ এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে অপরাজিত ৮৪ রান। এ পর্যন্ত ৭ ম্যাচে তিনি সংগ্রহ করেছেন ৩০৪ রান, সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছেন।