জাকের আলি অনিক বাউন্ডারির কাছাকাছি যেতেই চিৎকার করে উঠলেন নিকটবর্তী গ্যালারীর দর্শকরা এমনকি ডিপে ফিল্ডিং করার সময় জাকেরের কাছে রীতিমতো আশেপাশের চেয়ার থেকে উঠে স্লোগান দিয়ে দু*য়োধ্বনি দিচ্ছিলেন দর্শকরা।
ম্যাচ চলাকালীন তখন জাকেরকে কার্যত আরো যেন মানসিকভাবে অপ দস্তই করছিলেন গ্যালারীতে থাকা দর্শকরা। পুরো ঘটনাটিই অবশ্যই বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য খুবই নিচু উদাহরণ হয়ে থাকবে। এমনকি ঐ সময়ে নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত কর্মীরা দর্শকদের আটকে ফেলার চেষ্টা করলেও তাতে কোন লাভ হয়নি।
ফর্মে না থাকায় যে কোন ক্রিকেটারকে সমালোচনা অবশ্যই করবেন দর্শকরা তবে ব্যক্তিগতভাবে হেয় করা কাম্য না কোনভাবেই। ব্যাক্তিগত কোন অভ্যাস, পরিবার নিয়ে ছোট করার অভ্যাস থেকে দ্রুতই ফিরে আসা উচিত বাংলাদেশের দর্শকদের। অন্তত ম্যাচ চলাকালীন সময়ে ক্রিকেটারদের বরং পাশে থাকারই অভ্যাসটা জানতেই হবে বাংলাদেশের দর্শকদের।
ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশের দর্শকরা সুনাম কুড়িয়েছে ক্রিকেট দলকে সবসময় সমর্থন করার মধ্য দিয়ে। এমনকি চট্টগ্রামে সিরিজ হারবার পরও যেভাবে দর্শকরা এসেছেন শেষ ম্যাচে সেটি বড় উদাহরণ এবং এর কৃতিত্ব বাংলাদেশের দর্শকদের দিতেই হবে।
এর পাশাপাশি দর্শকরা যদি ক্রিকেটারদের খারাপ সময়ে ক্রিকেটারদের সাথে আচরণের ব্যাপারে কিছুটা সঙ্গতিপূর্ণ হতে পারেন তবে সেটি বাংলাদেশের দর্শকদের আরো অনেক উচুতেই নিয়ে যাবে। ক্রিকেট পাগল রাষ্ট্রের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নের পাশাপাশি দর্শকদের আচরণগত উন্নতিও প্রয়োজন। দর্শকরা ক্রিকেটের সবথেকে বড় স্তম্ভগুলোর একটি, তাই বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতির অংশ দর্শকরাও। সেটি হতে পারলে লাভটা বাংলাদেশের ক্রিকেটেরই।
বিশেষ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম থেকে