সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিনে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। মাত্র একটি উইকেট হারিয়েই আয়ারল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের রান টপকে যায় দল। মাহমুদুল হাসান জয় তুলে নিয়েছেন দেড়শ রানের অসাধারণ ইনিংস, আর মুমিনুল হক এগোচ্ছেন শতকের পথে। বাংলাদেশের লক্ষ্য এখন বড় সংগ্রহ গড়া।
দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮৫ ওভারে ১ উইকেটে ৩৩৮ রান। লিড ৫২ রানের, হাতে রয়েছে ৯ উইকেট।
দ্বিতীয় টেস্টে জয়ের ব্যাট থেকে এসেছে ২৮৩ বলে অপরাজিত ১৬৯ রান—যার মধ্যে রয়েছে ১৪টি চার ও ৪টি ছক্কা। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটিই তার সেরা ইনিংস। মুমিনুলও ছিলেন দুর্দান্ত, ১২৪ বলে ৮০ রানে অপরাজিত, যেখানে ছিল ৫টি চার ও ২টি ছক্কা।
এদিন আউট হওয়া একমাত্র ব্যাটার সাদমান ইসলাম, যিনি ৮০ রান করে ম্যাথু হামফ্রিজের বলে ফেরেন।
দিনের শুরুতে ৮ উইকেটে ২৭০ রানে থাকা আয়ারল্যান্ড শেষ পর্যন্ত অলআউট হয় ২৮৬ রানে।
এরপর ব্যাট হাতে শুরু থেকেই আধিপত্য দেখায় বাংলাদেশ। সাদমান ও জয় উদ্বোধনী জুটিতে গড়েন ১৬৮ রানের পার্টনারশিপ—যা টেস্টে ৪৫ ইনিংস পর প্রথমবারের মতো দেড়শ পেরোনো উদ্বোধনী জুটি।
সাদমান ৯ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৮০ রান। এরপর জয় ও মুমিনুলের জুটিতে আরও ভোগান্তিতে পড়ে আয়ারল্যান্ড।
দীর্ঘ ১৭ ইনিংস পর জয় ছোঁয় ৪০ রানের গণ্ডি, আর এই ম্যাচেই তুলে নেন তার দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি—১৯০ বলে। প্রথম সেঞ্চুরির ৩০ ইনিংস পর এসেছে এই শতরান। পরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ক্যারিয়ারের প্রথম দেড়শও স্পর্শ করেন তিনি।
মুমিনুলও নিজের ফিফটি পূরণ করেন মাত্র ৭৫ বলে, তারপর এগিয়ে যান আরও দূরে।
দিনশেষে জয় ও মুমিনুলের অবিচ্ছিন্ন জুটি ১৭০ রানের। দ্বিতীয় উইকেটে ৩০ ইনিংস পর শতরানের পার্টনারশিপ পেল বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
- আয়ারল্যান্ড প্রথম ইনিংস: ২৮৬
- বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৮৫ ওভারে ৩৩৮/১ (জয় ১৬৯*, সাদমান ৮০, মুমিনুল ৮০*; ম্যাককার্থি ৮-১-৩৪-০, ইয়াং ৭-০-২৭-০, ম্যাকব্রাইন ২৪-৫-৯৩-০, নিল ৮-০-৩৮-০, হামফ্রিজ ২৩-০-৭৮-১, ক্যাম্ফার ৬-০-৩৫-০, টেক্টর ৯-১-৩১-০)।