২০১৪ সালের আসর থেকে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলছেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল।
তবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গে রাসেলের দীর্ঘ সম্পর্ক আপাতত শেষ হলো। ২০২৬ সালের আইপিএল নিলামের আগে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি তাকে ছেড়ে দিয়েছে।
গত আসরের দল থেকে ধরে রাখা ক্রিকেটারদের তালিকা জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল শনিবার। এদিন সন্ধ্যায় আইপিএল কর্তৃপক্ষ ১০টি ফ্র্যাঞ্চাইজির ধরে রাখা ক্রিকেটারদের তালিকা প্রকাশ করে।
কলকাতা যে ১২ জন খেলোয়াড়কে ধরে রেখেছে, সেখানে রাসেলের নাম নেই। ২০১৪ সাল থেকে দলটির হয়ে খেলছেন তিনি। এছাড়াও ২০১৪ ও ২০২৪ সালের শিরোপাজয়ী দলের অংশও ছিলেন।
রাসেলের আইপিএল যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১২ সালে, তখন তিনি দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে অভিষেক করেন। দুই বছর পর কলকাতায় যোগ দেন, প্রথম আসরে তেমন কিছু করতে পারেননি। তবে ২০১৫ সালের পর ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করেছেন।
গত আইপিএলের মেগা নিলামের আগে কলকাতা তাকে ১২ কোটি রুপিতে ধরে রাখে। সেবার ১৩ ম্যাচে খুব বেশি সফলতা পাননি। ওভারপ্রতি ১১.৯৪ রান দিয়ে কেবল ৮ উইকেট নেন। ব্যাটিংয়ে ১৬৭ রান করেন ১৮.৫৬ গড়ে, স্ট্রাইক রেট ১৬৩.৭৩। একটি ফিফটি আছে।
তবুও সামগ্রিকভাবে রাসেলের আইপিএল ক্যারিয়ার অত্যন্ত উজ্জ্বল। ১৪০ ম্যাচে আড়াই হাজারের বেশি রান (স্ট্রাইক রেট ১৭৪.১৮) এবং ১২৩ উইকেট নিয়েছেন। ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ২ হাজার রান ও ১০ উইকেটের যুগল অর্জন করেছেন তিনি, যা ছাড়া আর কেবল রাভিন্দ্র জাদেজারই করতে পেরেছেন।
২০২৫ সালের মেগা নিলামের আগে কলকাতা রাসেলকে ছাড়ার কথা ভেবেছিল, পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। ৩৭ বছর বয়সী ক্রিকেটার জুলাই ২০২৫-এ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকে কেবল টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি।
ছেড়ে দেওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে বড় নাম আরও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। গতবার নিলাম থেকে চার কোটি ২০ লাখ রুপিতে পাঞ্জাব কিংস তাকে দলে নিয়েছিল, কিন্তু সাত ম্যাচে তেমন কিছু করতে পারেননি। পাঞ্জাব কিংস এবার তাকে ধরে রাখেনি।
আরেক অস্ট্রেলিয়ান জশ ইংলিসকেও পাঞ্জাব ছেড়ে দিয়েছে। এছাড়া ডেভিড মিলার, মুজিব উর রাহমান, ফাফ দু প্লেসি, জেইক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক, লিয়াম লিভিংস্টোনের মতো ক্রিকেটারদেরও তাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি ধরে রাখেনি।
গতবার মাঝপথে আইপিএল স্থগিত হওয়ার পর ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক দেশে ফিরে যাওয়ায়, দিল্লি ক্যাপিটালস মুস্তাফিজুর রহমানকে ৬ কোটি রুপিতে দলে নিয়েছিল। অস্থায়ীভাবে দলে নেওয়া ক্রিকেটারদের ধরে রাখার নিয়ম নেই, তাই মুস্তাফিজকে এবার নিলামে যেতে হবে।
মিনি নিলাম অনুষ্ঠিত হবে ১৬ ডিসেম্বর, আবু ধাবিতে।