ইংল্যান্ডের বাজবল কৌশল নিয়ে তীব্র সমালোচনায় মুখর হলেন দেশটির কিংবদন্তি অলরাউন্ডার ইয়ান বোথাম।
অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের বাজে পারফরম্যান্সে ক্ষুব্ধ বোথাম সরাসরি আক্রমণ করেছেন ম্যাককালাম–স্টোকসদের কৌশলকে। তিনি সতর্ক করে দেন—যদি বাকি ম্যাচগুলোতেও বাজবল কৌশলে অনড় থাকে ইংল্যান্ড, তাহলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশড হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
পার্থে প্রথম টেস্টে শক্ত অবস্থানে থেকেও ৮ উইকেটে হেরেছে ইংল্যান্ড। মাত্র দুই দিনেই ম্যাচ শেষ করে সিরিজে এগিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া।
পিএ নিউজ এজেন্সিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বোথাম ইংল্যান্ড দলকে রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছেন। বেন স্টোকসের দল কেন এখনও অতি-আগ্রাসী বাজবল কৌশল আঁকড়ে ধরে আছে—তা তার কাছে বোধগম্য নয়।
তিনি বলেন,
“পার্থে ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্স ভয়াবহ ছিল। এর চেয়ে নরম শব্দ নেই।”
“‘আমরা এভাবেই খেলি’—এই কথা শুনতে শুনতে আমার বিরক্ত লাগছে। আবার যদি এটা শুনি, তবে সত্যি বলছি, কিছু একটা ছুড়ে মারব। যদি তোমরা সত্যিই এমনভাবে খেলতে থাকো, তাহলে এখনই বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নাও। কারণ অস্ট্রেলিয়া ৫-০ ব্যবধানে জিততে যাচ্ছে। তারা হয়তো আমার কথায় বিরক্ত হবে, কিন্তু বিষয়টা বুঝতে হবে।”
পার্থ টেস্টের প্রথম দিনে একসময় ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ১৬০। হ্যারি ব্রুক অর্ধশতক করে খেলছিলেন, জেমি স্মিথের সঙ্গে তার জুটিও জমে উঠেছিল। কিন্তু হঠাৎ ধসে ১৮ বলে মাত্র ১২ রান যোগ করেই শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড।
যদিও পরে দারুণ বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ১৩২ রানে গুটিয়ে ৪০ রানের লিড নেয় সফরকারীরা। দ্বিতীয় দিনে লাঞ্চে যায় তারা ১ উইকেটে ৫৯ রান নিয়ে। লিড তখন প্রায় শতরান। কিন্তু দ্বিতীয়বারের মতো ব্যাটিং ধসে থেমে যায় ১৬৪ রানে।
শেষ ইনিংসে ট্রাভিস হেডের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়া ২০৫ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে মাত্র ২৮.২ ওভারে।
দ্বিতীয় টেস্ট হবে আগামী বৃহস্পতিবার ব্রিজবেনে, গোলাপি বলে।
২০১০–১১ মৌসুমের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অ্যাশেজ সিরিজ আর জিততে পারেনি ইংল্যান্ড। সেই সিরিজের পর তিনটি সফরে তারা একটি টেস্টও জিততে পারেনি—হেরেছে যথাক্রমে ৫–০, ৪–০ ও ৪–০ ব্যবধানে। আর অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম টেস্ট হেরে সিরিজ জেতার উদাহরণ নেই ১৯৫০ সালের পর থেকে।