মেলবোর্ন টেস্টে খেলা নিয়ে নিজেই অনিশ্চয়তার কথা জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
অ্যাশেজে মাঠে নামার প্রবল ইচ্ছা থেকেই পুনর্বাসনে কোনো ঘাটতি রাখেননি কামিন্স। সেই অপেক্ষার অবসান ঘটে তৃতীয় টেস্টে। অ্যাডিলেইডে তার প্রত্যাবর্তনের ম্যাচেই জয় তুলে নিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। তবে শরীরের বর্তমান অবস্থার কথা বিবেচনায় এখন আর পরের ম্যাচে খেলার প্রয়োজনীয়তা তেমন অনুভব করছেন না অধিনায়ক নিজেই।
চোটের কারণে অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে খেলতে পারেননি কামিন্স। ঝুঁকি থাকলেও সিরিজের কোনো এক পর্যায়ে মাঠে নামার লক্ষ্য ছিল তার। সে কারণেই সেরে ওঠার প্রক্রিয়ায় কিছুটা তাড়াহুড়াও করেছিলেন অভিজ্ঞ এই পেসার।
তবে তাকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চায়নি অস্ট্রেলিয়া দল। ব্রিজবেনে গোলাপি বলের টেস্টে ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত সতর্কতার অংশ হিসেবে তাকে খেলানো হয়নি। কামিন্সকে ছাড়াই প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজে শক্ত ভিত গড়ে তোলে স্বাগতিকরা।
তৃতীয় টেস্টে কামিন্সের ফেরা অ্যাশেজ ধরে রাখার সম্ভাবনাকে আরও জোরালো করে তোলে। ফেরার ম্যাচেই দারুণ বোলিং করেন তিনি—দুই ইনিংসেই শিকার করেন তিনটি করে উইকেট। দুইবার ফেরান ইংল্যান্ডের তারকা ব্যাটার জো রুটকে।
আগের দুই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে কার্যত অসহায় ছিল ইংল্যান্ড। পার্থে দুই দিনেই হার, এরপর ব্রিজবেনে চতুর্থ দিনে পরাজয়। তবে অ্যাডিলেইড টেস্টে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলে সফরকারীরা। পঞ্চম দিনে অল্প সময়ের জন্য হলেও অবিশ্বাস্য কিছুর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, যদিও শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি তারা।
অ্যাডিলেইডে ৮২ রানের জয়ে মাত্র ১১ দিনেই অ্যাশেজ নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া। ঐতিহ্যবাহী ‘ছাইদানি’ ধরে রাখতে পেরে দারুণ খুশি কামিন্স। তার মতে, যে লক্ষ্য নিয়ে তিনি মাঠে ফিরতে মরিয়া ছিলেন, তা পূরণ হয়েছে।
কামিন্স বলেন,
“আমি সত্যিই ভালো অনুভব করছি। তবে সিরিজের বাকি অংশ নিয়ে আমরা অপেক্ষা করে দেখব কী হয়। অ্যাশেজ জেতার কথা মাথায় রেখেই দ্রুত নিজেকে প্রস্তুত করেছিলাম, এবং মনে হচ্ছে সেটি সফল হয়েছে। এখন যেহেতু সিরিজ জিতেছি, মনে হচ্ছে কাজটা শেষ। তাই শরীরের ঝুঁকি নিয়ে আবার ভাবার সময় এসেছে।”
তিনি আরও যোগ করেন,
“আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেব—মেলবোর্নে খেলব কিনা, সেটা এখনও অনিশ্চিত। এরপর সিডনি টেস্ট নিয়ে ভাবা হবে।”
আগামী শুক্রবার শুরু হবে অ্যাশেজ সিরিজের চতুর্থ টেস্ট। আর পঞ্চম ও শেষ টেস্টটি শুরু হবে ৪ জানুয়ারি, সিডনিতে।