BN

ভারতকে হারিয়ে যুব এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান

ভারতকে হারিয়ে যুব এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান

যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের কোনো ব্যাটসম্যানই পাকিস্তানের এক জনের রান ছুঁতে

যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের কোনো ব্যাটসম্যানই পাকিস্তানের এক জনের রান ছুঁতে পারেননি।

দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সামির মিনহাস ফাইনালের মঞ্চে খেললেন ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস। রেকর্ডগড়া ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে এনে দিলেন বিশাল সংগ্রহ। পরে বল হাতে আলো ছড়ালেন পেসার আলি রাজা। ব্যাটিংয়ে ভয়াবহ ব্যর্থতায় ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দল কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়ে তুলতে পারেনি।

রোববার দুবাইয়ে যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে একপ্রকার উড়িয়ে দেয় পাকিস্তান। দাপুটে পারফরম্যান্সে ১৯১ রানের বিশাল জয় তুলে নেয় তারা।

এটি অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে পাকিস্তানের দ্বিতীয় শিরোপা। ২০১২ সালে ফাইনাল টাই হলে ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে ট্রফি জিতেছিল তারা।

এই জয়ই এশিয়া কাপ ফাইনালের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানের। এর আগে ২০১৭ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে আফগানিস্তানের ১৮৫ রানের জয় ছিল রেকর্ড। পাশাপাশি যুব ওয়ানডেতে ভারতের বিপক্ষে এটিই পাকিস্তানের প্রথম শতাধিক রানের জয়।

ব্যাট হাতে ইতিহাস গড়েন সামির মিনহাস। ১৭২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে পাকিস্তানকে ৫০ ওভারে ৩৪৭ রানে পৌঁছে দেন তিনি। সঙ্গে আহমেদ হুসাইনের ৫৬ রান। যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে এটিই সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।

এত বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ধসে পড়ে ভারতের ব্যাটিং। শেষ পর্যন্ত তারা গুটিয়ে যায় মাত্র ১৫৬ রানে—যা সামির একার রানেরও কম।

৯টি ছক্কা ও ১৭টি চারে সাজানো সামিরের ১১৩ বলের ইনিংসটি যুব ওয়ানডেতে পাকিস্তানের কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ। পাশাপাশি যুব এশিয়া কাপের ফাইনালেও এটি সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।

ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন সামির মিনহাস—এতে অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। এটি ছিল তার এবারের টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। গ্রুপ পর্বে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে অপরাজিত ১৭৭ রান করেছিলেন তিনি। পুরো টুর্নামেন্টে ৪৭১ রান করে ১৫৭ গড়ে শেষ করেন সামির। টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারও ওঠে তার হাতেই।

বল হাতেও পাকিস্তানের দাপট ছিল স্পষ্ট। আলি রাজা ৪২ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। মোহাম্মাদ সাইয়াম, আব্দুল সুবহান ও হুজাইফা আহসান নেন দুটি করে উইকেট।

আইসিসি একাডেমি মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই একটি উইকেট হারালেও সামির ও উসমান খানের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। এরপর আহমেদ হুসাইনের সঙ্গে ১৩৭ রানের বড় জুটি গড়ে ইনিংসের ভিত শক্ত করেন সামির। শেষ পর্যন্ত তার ব্যাটেই গড়ে ওঠে ফাইনালের বিশাল ব্যবধান।

ভারতের ইনিংসে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকে। কোনো ব্যাটসম্যানই ফিফটি করতে পারেননি। দশ নম্বরে নেমে দিপেশ ৩৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেললেও তাতে পরাজয়ের ব্যবধান কমানো যায়নি।

শেষ পর্যন্ত আলি রাজার শেষ উইকেটের সঙ্গে সঙ্গেই উল্লাসে মাতে পাকিস্তান শিবির।

  • ফল: পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল ১৯১ রানে জয়ী
  • ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সামির মিনহাস
  • ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট: সামির মিনহাস

সর্বশেষ সংবাদ

লিভারপুলের বিপক্ষে ম্যাচে রেফারি জন ব্রুকসের কিছু সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট

অনেক উচ্চাশা ও গর্জনের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েও ইংল্যান্ডের

প্রথম ওভারে কিছুটা খরুচে পারফরম্যান্সের পর ফিরে দাঁড়ান মুস্তাফিজুর

ফুটবল

লিভারপুলের বিপক্ষে ম্যাচে রেফারি জন ব্রুকসের কিছু সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট ছিলেন

ক্রিকেট

অনেক উচ্চাশা ও গর্জনের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েও ইংল্যান্ডের বর্ষণ

ক্রিকেট

প্রথম ওভারে কিছুটা খরুচে পারফরম্যান্সের পর ফিরে দাঁড়ান মুস্তাফিজুর রহমান।

ক্রিকেট

অ্যাশেজ সিরিজে হারের পর সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক জেফ বয়কট আরও