জানলুইজি দোন্নারুম্মার জায়গায় দলে নেওয়া লুকাহ শুভালিয়ে প্রথম ম্যাচেই পিএসজিকে ট্রফি এনে দিলেন টাইব্রেকারে গুরুত্বপূর্ণ সেভ করে।
দোন্নারুম্মাকে নিয়ে চলছিল আলোচনা ও বিতর্কের ঝড়, আর এর প্রভাব পড়েছিল নবীন গোলকিপার শুভালিয়ের ওপর। মাঠে একটি ছোট ভুলও করেছেন তিনি, তবে সবকিছুকে পেছনে ফেলে অভিষেক ম্যাচেই তিনি হয়ে উঠলেন স্বপ্নের নায়ক।
উয়েফা সুপার কাপে বুধবার পিএসজি জয় লাভ করে টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে। ইতালির উদিনিতে ৮৪ মিনিট পর্যন্ত টটেনহ্যাম ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল। কিন্তু পিএসজি ৮৫তম মিনিট ও অতিরিক্ত সময়ে দুটি গোল করে সমতা ফেরায়। টাইব্রেকারে শুভালিয়ে খেলেন নির্ধারক ভূমিকা, সেভ করে দলকে ট্রফি এনে দেন।
লুকাহ শুভালিয়ের জন্য এটি ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় মুহূর্ত। লিল একাডেমি থেকে উঠে আসা এই গোলকিপার গত চার বছর লিলেই খেলে আসছিলেন। দলে যোগ দেওয়ার আগে তিনি ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে, কারণ পিএসজিতে তো আছেন বিশ্বের সেরা গোলকিপারদের একজন দোন্নারুম্মা।
সুপার কাপের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে পিএসজি কোচ লুইন এনরিকে জানিয়েছিলেন, “আমি ভিন্ন প্রোফাইলের গোলকিপার চাইছিলাম। তাই দোন্নারুম্মাকে বাদ দিয়ে শুভালিয়েকে সুযোগ দিয়েছি।” বিতর্কের জোয়ারে হতাশ ও হতভম্ব দোন্নারুম্মা ঘোষণা দিয়েছেন ক্লাব ছাড়ার।
শুভালিয়ের অভিষেকের শুরুটা কিছুটা চাপের মধ্যে হয়েছিল। প্রথমার্ধে তিনি ভালো কিছু সেভ করেন, তবে টটেনহ্যামের ক্রিস্তিয়ান রোমেরোর হেড থেকে গোল খাওয়ায় চোখে পড়ে। এই ভুলটি হয়তো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হত, তবে টাইব্রেকারে নিজের সময়টি কাজে লাগিয়ে ২৩ বছর বয়সী গোলকিপার জিতে নেন দলের ট্রফি।
পিএসজি কোচ এনরিকে ম্যাচ শেষে বলেন,
“আমরা লুকাহর ওপর ভরসা রেখেছি। মাত্রই দলে যোগ দিয়েছে, কিন্তু নিজের সময় এসেছে এবং সে নিজেকে প্রমাণ করেছে। আমরা খুবই খুশি।”
এছাড়া তিনি যোগ করেন,
“পিএসজিতে থাকতে হলে মানসিকতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। লুকাহ এই চাপ সামলাতে পারে, এবং প্রথম ম্যাচেই তার মানসিকতার প্রমাণ দিয়েছে।”
নবীন গোলকিপারের অভিনয়ে মুগ্ধ পিএসজির তারকা ফরোয়ার্ড উসমান দেম্বেলেও বলেন,
“দারুণ চিত্রনাট্য! সে দলে এসেই পেনাল্টি বাঁচিয়ে দলকে ট্রফি এনে দিল। এটি তার জন্য চমৎকার শুরু।”
শুভালিয়ের এই অভিষেক প্রমাণ করল, চাপের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও নৈপুণ্য থাকলে নবীন খেলোয়াড়ও বড় নায়ক হয়ে উঠতে পারে।