আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ম্যানচেস্টার সিটির অনেক খেলোয়াড় নতুন ক্লাবের ঠিকানা খুঁজে নিতে পারেন বলে আভাস দিলেন কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা।
গ্রীষ্মের দলবদলে দলে নতুন খেলোয়াড় যোগ হওয়ায় স্কোয়াডের আকার বেড়ে গেছে। তবে এটি মোটেও ভালো কিছু নয় বলে মনে করেন গুয়ার্দিওলা। তার মতে, অতিরিক্ত খেলোয়াড় থাকা দলের পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
শিরোপাশূন্য মৌসুমের হতাশা পেছনে ফেলে দুর্দান্ত সূচনা করেছে সিটি। প্রিমিয়ার লিগ অভিযানের প্রথম ম্যাচেই উলভারহ্যাম্পটনকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। আর্লিং হলান্ডের জোড়া গোলের সঙ্গে স্কোরশিটে নাম তুলেছেন টিজানি রেইডার্স ও হায়ান শের্কি।
রেইডার্স ও শের্কির জন্য এটি ছিল প্রিমিয়ার লিগে প্রথম ম্যাচ। দুই বছর পর পুরোনো ক্লাবে ফিরেই আত্মবিশ্বাসী সূচনা করেছেন ইংলিশ গোলরক্ষক জেমস ট্র্যাফোর্ড। উলভস থেকে আসা আলজেরিয়ান ডিফেন্ডার রায়ান আইত-নুরিও আলো ছড়িয়েছেন সাবেক সতীর্থদের বিপক্ষে।
নতুনদের ঝলক আর পুরোনোদের অভিজ্ঞতায় দারুণ ভবিষ্যৎ দেখছেন গুয়ার্দিওলা। তবে তার এখনকার মূল চিন্তা—অতিরিক্ত খেলোয়াড় কমানো।
উলভস ম্যাচের পর তিনি বলেন,
“দলে খেলোয়াড় অনেক বেশি হয়ে গেছে। আমি গভীর স্কোয়াড চাই, কিন্তু একই সঙ্গে চাই না কাউকে বাড়িতে বসিয়ে রাখতে। এটা মোটেও ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করে না। দলের প্রতিটি খেলোয়াড়কে অনুভব করতে হবে যে, তারা খেলার সুযোগ পাবে ও অবদান রাখতে পারবে। আগামী দুই সপ্তাহে খেলোয়াড় ও এজেন্টদের সঙ্গে আলোচনা করে এর সমাধান বের করা হবে।”
সাম্প্রতিক সময়ে গোলরক্ষক এদেরসন ও মিডফিল্ডার সাভিনিয়োকে ঘিরে সিটি ছাড়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তবে গুয়ার্দিওলার দাবি, এই দুই ব্রাজিলিয়ান কেউই সরাসরি কিছু জানাননি। উলভস ম্যাচে এদেরসনের অনুপস্থিতি অবশ্য জল্পনাকে বাড়িয়েছে। গুয়ার্দিওলা জানান, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই খেলেননি ৩২ বছর বয়সী এই কিপার।
গুয়ার্দিওলা আরও বলেন,
“যদি কোনো খেলোয়াড় ক্লাব ছাড়তে চায়, তাহলে তাকে যেতে দেওয়া হবে, তবে সেটা অবশ্যই ক্লাবের শর্ত মেনেই। এখানে সুখী না হলে থাকার কোনো মানেই হয় না। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অবশ্যই ক্লাবের হাতে।”
শেষে যোগ করেন,
“আগামী দুই সপ্তাহে কী হবে, আমি জানি না।”