গত দুটি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের বাধা পেরোতে পারেনি জার্মানি। একই চিত্র ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপেও—সর্বশেষ দুটি ইউরো আসরে সেমিফাইনালের আগেই থেমে গেছে তাদের যাত্রা।
কখনও যাদের বলা হতো ‘বড় আসরের বড় দল’, সেই জার্মানির তকমা এখন যেন হাস্যরসের উপকরণে পরিণত হয়েছে। তবে অতীতের সেই গৌরব ফেরাতে বদ্ধপরিকর কোচ ইউলিয়ান নাগেলসমান। নতুন করে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের লক্ষ্য এবারও স্পষ্ট—আরেকটি বিশ্বকাপ শিরোপা জেতা।
বৃহস্পতিবার স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ বাছাই অভিযান শুরু করবে জার্মানি। এরপর রোববার মুখোমুখি হবে নর্দান আয়ারল্যান্ডের। আপাতত প্রথম লক্ষ্য বাছাইপর্ব উতরে বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে জায়গা করে নেওয়া হলেও নাগেলসমানের নজর এখনই শিরোপা মঞ্চে।
ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,
“লক্ষ্য ঠিক করা সবসময়ই ভালো। লক্ষ্য না ঠিক করে বা সেটির জন্য লড়াই না করে কোনো দল কিংবা ব্যক্তির জন্য সামনে এগোনো কঠিন। আমার মনে হয়, বিশ্বকাপ জেতার লক্ষ্য আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় প্রেরণা। আমি নিশ্চিত, দলের কেউই ভিন্ন কিছু ভাবছে না। কেউ যদি অন্যভাবে ভাবে, তবে সে এই পথচলার সঙ্গী হতে পারবে না।”
এই গ্রুপের অন্য দল লুক্সেমবার্গ। কাগজে-কলমে জার্মানি স্পষ্ট ফেভারিট হলেও নাগেলসমান কোনো কিছুই সহজভাবে নিতে রাজি নন। প্রক্রিয়াটিকেই তিনি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।
“বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি ম্যাচে আমাদের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই এগোতে হবে। লক্ষ্য যেহেতু বড়, নিজেদের নিয়ে সংশয়ে পড়ার কোনো সুযোগ নেই। লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রক্রিয়াটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
নাগেলসমানের কোচিংয়ে প্রথম বড় আসর ছিল গত ইউরো। সেবার কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে ছিটকে যায় জার্মানি। এরপর নেশন্স লিগে হারের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে পর্তুগাল ও ফ্রান্সের কাছে।
তবে এবার সেই ব্যর্থতা ভুলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে চান জার্মান কোচ।
“সবকিছুই ছন্দের ওপর নির্ভর করছে। আশা করি, আমরা দল হিসেবে ছন্দ খুঁজে পাব। পরপর দুটি ব্যর্থতার পর এমন মুহূর্তগুলো কমিয়ে আনতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ম্যাচ জেতা এবং বাছাইপর্বে সফল হওয়া। আশা করি সেটা আমরা দাপটের সঙ্গেই করতে পারব।”