যে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে অনেকে শিরোপার উল্লাস উদযাপন করেছেন, ঠিক সেই মাঠে আগামী সপ্তাহে এবার প্রতিপক্ষ হিসেবে নামতে হবে এই তারকাকে।
ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সফল ও সেরা দশ বছর কাটিয়েছেন যেখানেই, সেই ম্যানচেস্টার সিটিতে তার শেষ সময়টা প্রত্যাশিত ছিল না কেভিন ডে ব্রুইনের। তবু ক্লাবের প্রতি ভালোবাসায় কোনো কমতি হয়নি তার। ‘এক দশকের ঠিকানা’ ছাড়ার কয়েক মাসের মধ্যেই ফিরতে হচ্ছে বেলজিয়ান মিডফিল্ডারকে, এবার প্রতিপক্ষ হয়ে। এ অনুভূতি তার কাছে অদ্ভুতই মনে হচ্ছে।
২০১৫ সালে ভলফসবুর্ক থেকে সিটিতে আসেন ডে ব্রুইনে। অল্প সময়ের মধ্যে তিনি পেপ গুয়ার্দিওলার আক্রমণাত্মক কৌশলের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন। গত এক দশকে ক্লাবটির প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা, টানা চারটি প্রিমিয়ার লিগ জয়সহ মোট ছয়টি লিগ শিরোপা এবং আরও অনেক সাফল্যের মূল চালিকাশক্তি ছিলেন তিনি।
গত মৌসুমে চোটের কারণে ভোগান্তি হয় ডে ব্রুইনের, পারফরম্যান্সও ছিল আগের মতো নয়। তবু কোচের আস্থা ছিল ঠিকই। কিন্তু ক্লাব কর্তৃপক্ষ নতুন চুক্তির প্রস্তাব দেননি। তাই গত জুনে নাপোলিতে পাড়ি জমান তিনি। ইতালিয়ান ক্লাবের হয়ে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচে মাঠে নামবেন সিটির বিপক্ষে।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে খেলতে হবে এমন মাঠেই, যেখানে এত শিরোপার উল্লাস দেখেছেন, তার অনুভূতি জানালেন জাতীয় দলের সঙ্গে থাকা ডে ব্রুইনে।
“নাপোলির হয়ে আমরা শীঘ্রই ম্যানচেস্টারের বিপক্ষে খেলব। বিষয়টা অদ্ভুত হবে। সিটি আমার ক্লাব, আর এটা কখনো বদলাবে না।”
ইংলিশ ফুটবলে এক দশক খেলে এখন ইতালিয়ান ফুটবলে খেলা ডে ব্রুইনের কাছে নতুন অভিজ্ঞতা।
“এখন পর্যন্ত সেরি আ ইয়েতে আমি মাত্র দুটি ম্যাচ খেলেছি। পেপ গুয়ার্দিওলার থেকে আন্তোনিও কন্তের কোচিংয়ে খেলা ভিন্ন রকমের। প্রথম অনুভূতি হলো, ইতালিতে ফুটবল একটু বেশি কৌশলগত এবং ধীর গতির, তবে এটাও ফুটবল। ম্যানচেস্টার সিটিতেও আমি অন্য ধরণের খেলা খেলেছি।”
গত সপ্তাহে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে লিখটেনস্টাইনকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বেলজিয়াম। জে গ্রুপে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা ডে ব্রুইনে ও লুকাকুরা রোববার কাজাখস্তানের মুখোমুখি হবেন।