ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে শুরুতেই পিছিয়ে পড়লেও যে দাপট দেখিয়েছে আর্সেনাল, তাতে মুগ্ধ হয়েছেন দলের কোচ মিকেল আর্তেতা।
এমিরেটস স্টেডিয়ামে দেখা গেছে এক বিরল দৃশ্য। বল দখল, সুযোগ তৈরি আর গোলের জন্য শট নেওয়ার মতো সূচকে পিছিয়ে ছিল পেপ গুয়ার্দিওলার সিটি। এমন আধিপত্যের ফুটবল খেলার পরও হারের মুখে পড়েছিল আর্সেনাল। শেষ মুহূর্তের গোলে হার এড়াল তারা। দুর্দান্ত ফুটবল খেলেও জয় না পাওয়ায় ভীষণ হতাশ আর্তেতা, তবে দলের পারফরম্যান্সে তিনি বেশ খুশি।
রোববার ঘরের মাঠে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা প্রত্যাশী দুই দলের লড়াই শেষ হয় ১-১ সমতায়। শুরুতে আর্লিং হালান্ড সিটিকে এগিয়ে দেন, আর যোগ করা সময়ে আর্সেনালকে সমতায় ফেরান গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি।
পাঁচ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লিভারপুল। ৫ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে আর্সেনাল।
পেপ গুয়ার্দিওলার কোচিং করানো কোনো দলের বিপক্ষে সর্বোচ্চ বল দখলে রাখার রেকর্ড নিজেরাই ভেঙেছে আর্সেনাল। ম্যাচে ৬৭.২ শতাংশ বল দখলে রেখেছে তারা। শুরুর একাদশে এবেরেচি এজে, বুকায়ো সাকা ও মার্তিনেল্লির মতো খেলোয়াড়দের না দেখে প্রশ্ন উঠেছিল, আর্তেতা কি সত্যিই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে চান?
সমালোচনাকে পাত্তা না দিয়ে নিজের দল নিয়ে গর্বিত হওয়ার কথাই জানালেন আর্তেতা।
“সিটি একটি গোল করেছে, এরপর আর কিছুই করতে পারেনি। সবাই ফল পাওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে—এটা স্বাভাবিক। কিন্তু আমরাই খেলা নিয়ন্ত্রণ করেছি, দাপট দেখিয়েছি, আর দ্বিতীয়ার্ধেও একই চিত্র ছিল। আমি আমার খেলোয়াড়দের এবং দল নিয়ে দারুণ গর্বিত, তবে ফলাফলে ভীষণ হতাশ।”
গোলের জন্য ১২টি শট নিয়ে তিনটি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিল আর্সেনাল। অন্যদিকে সিটি মাত্র পাঁচটি শট নিয়েছে, যার তিনটি ছিল লক্ষ্যে। সফরকারীদের সুযোগ নিয়েও সরাসরি বললেন আর্সেনাল কোচ:
“সিটির সুযোগ বলতে একবার কর্নার, একবার প্রতি-আক্রমণ আরেকবার আমাদের ভুলে পাওয়া সুযোগ—এই তো। সিটিকে এতটুকুতে সীমাবদ্ধ রাখতে পারায় ছেলেদের অভিনন্দন।”