বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ইসরাইলের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ফুটবলের স্বাভাবিক আবহ নেই বলছেন ইতালির কোচ জেন্নারো গাত্তুসো।
ইতালির পরের ম্যাচটি এস্তোনিয়ার বিপক্ষে হলেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু এখন ইসরাইলের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠের ম্যাচ। চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা উদিনেতে মাঠে নামবে, কিন্তু ইতালির কোচ গাত্তুসো বলছেন, চেনা ফুটবলীয় আবহের চেয়ে অস্বস্তি এবং অস্বাভাবিকতা অনেক বেশি।
আগামী শনিবার এস্তোনিয়ার মাঠে খেলবে ইতালি। এরপর মঙ্গলবার উত্তরাঞ্চলের শহর উদিনেতে আতিথ্য দেবে ইসরাইলকে। কিন্তু প্রতিবাদে কিছুদিন ধরেই উদিনেতে ও ইতালির বিভিন্ন শহরে মানুষ রাস্তায় নেমেছে। গত সপ্তাহেও ইতালির অনুশীলন মাঠের পাশে প্রতিবাদ হয়েছে। গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে ইতালির লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নামেছে। উদিনের মেয়রও ম্যাচ স্থগিতের কথা বলেছেন।
তবে ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে স্টেডিয়ামের ভিতরে ও বাইরে, এমনকি পুরো শহরজুড়েও। দর্শক সংখ্যা সীমিত রাখা হয়েছে। ২৫ হাজার ধারণ ক্ষমতার স্টেডিয়ামে সোমবার পর্যন্ত মাত্র ৪ হাজার টিকেট বিক্রি হয়েছে এবং খুব বেশি বিক্রি হবে না।
ম্যাচের আগে গাজার পরিস্থিতি নিয়ে গাত্তুসো বলেন, “সেখানে যা হচ্ছে, খুবই বেদনাদায়ক, বিশেষ করে শিশু ও নিরীহ মানুষের ওপর। হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় এসব দেখলে।”
২০০৬ বিশ্বকাপজয়ী এই মিডফিল্ডার মনে করিয়ে দেন, দলকে এই ম্যাচ খেলতেই হবে। “ম্যাচ না খেললে ৩-০ ব্যবধানে আমাদের পরাজয় ধরা হবে। যেহেতু আমরা বিশ্বকাপে খেলার চেষ্টা করছি, তাই আমাদের সবটুকু উজাড় করতে হবে।”
গাত্তুসো জানাচ্ছেন, ম্যাচের আগের আবহ ফুটবলীয় আলোচনার জন্য মোটেও সহায়ক নয়। উদিনেতে ঘরের মাঠের সুবিধা অনেক সীমিত থাকবে। “একটি ম্যাচে আমরা প্রবল উন্মাদনার মধ্যে খেলতে চাইতাম। কিন্তু উদিনেতে খুব বেশি সমর্থক থাকবে না। মাঠের ভেতরে হয়তো ৫-৬ হাজার এবং বাইরে ১০ হাজার মানুষ থাকবে।”
তিনি যোগ করেন, “মনোযোগ ধরে রাখতে হবে। বাইরে থেকে আসা নানা বিষয়গুলোতে আটকে পড়া চলবে না। আবহ ভালো না হলেও আমাদের কাজটাই করতে হবে।”