এ বিষয়ে লিওনেল মেসি তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আগামী বছরের ইন্টার মায়ামির প্রাক-মৌসুমকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন।
মেসি চাইছেন দলের বোঝা না হয়ে, বরং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে সতীর্থদের সঙ্গে বিশ্বকাপ ধরে রাখার লড়াইয়ে অংশ নিতে। ফুটবলের এই মহানায়ক আগেও যেমন বলেছিলেন, ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে খেলার বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। তিনি জানান, নিজের প্রতিদিনকার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা দেখে ভবিষ্যতের পথ ঠিক করবেন।
এনবিসি নিউজকে দেওয়া দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে মেসি ক্যারিয়ার, আসন্ন বিশ্বকাপ ও নানা বিষয় নিয়ে নিজের ভাবনা শেয়ার করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৪৮ দলের বিশ্বকাপে খেলবেন কিনা, তা নিয়ে ফুটবল ভক্তদের মধ্যে কৌতূহল তুঙ্গে। খেলতে ইচ্ছুক হলেও মেসি কিছু শর্তও উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, “সত্যি বলতে, বিশ্বকাপে থাকা সবসময়ই অসাধারণ অভিজ্ঞতা। আমি সেখানে থাকতে চাই। যদি ভালো বোধ করি, জাতীয় দলকে সহায়তা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চাই।”
মেসি আরও বলেন, “আগামী বছরের ইন্টার মায়ামির প্রাক-মৌসুমে প্রতিদিন নিজের অবস্থা মূল্যায়ন করব। দেখতে চাই শতভাগ ঠিক আছি কি না। বিশ্বকাপ সবসময়ই এক স্বপ্ন—আমরা শেষবার জিতেছি এবং শিরোপা ধরে রাখার জন্য লড়াই করা দুর্দান্ত হবে। আশা করি, ঈশ্বর আমাকে আবার সেই সুযোগ দেবেন।”
গত মাসে আন্তর্জাতিক বিরতির সময় তিনি বলেছিলেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তার ফিটনেস ও মানসিক অবস্থার ওপর নির্ভর করবে। মেসি বলেন, “আমি চেষ্টা করছি সবসময় ভালো থাকার। শারীরিক ও মানসিকভাবে যখন ভালো থাকি, তখন খেলাটাও উপভোগ করি। ভালো না থাকলে আনন্দ পাই না, তাই তখন খেলতে চাই না।”
তিনি আরও যোগ করেন, “বিশ্বকাপ নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেই। মৌসুম শেষ করব, তারপর প্রাক-মৌসুম, তারপর বিশ্বকাপ পর্যন্ত ছয় মাস বাকি থাকবে। তখন দেখব কেমন লাগছে। আশা করি প্রাক-মৌসুম ভালো যাবে, MLS মৌসুমও সফলভাবে শেষ হবে, তারপরই সিদ্ধান্ত নেব।”
আগামী রোববার ন্যাশভিলের বিপক্ষে প্লে-অফ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে মায়ামি। প্রথম ম্যাচে মেসির জোড়া গোলের সাহায্যে ৩-১ ব্যবধানে জিতেছে তারা এবং পরের ধাপে ওঠার সম্ভাবনায় এগিয়ে আছে। ঘরের মাঠে জিতলে মাত্র এক ম্যাচ বাকি রেখে পরবর্তী ধাপে জায়গা নিশ্চিত হবে।