কেবল হামজা চৌধুরী নন, পুরো বাংলাদেশ দলকে নিয়েই পরিকল্পনা করছেন বলে জানালেন ভারত কোচ খালিদ জামিল।
সংবাদ সম্মেলনে খালিদের উপস্থিতি যেন ছিল একেবারেই সংক্ষিপ্ত কথার প্রতিশ্রুতি নিয়ে। প্রতিটি প্রশ্নেই তাঁর উত্তর—দু’তিন শব্দ, বা খুব বেশি হলে ছোট দুইটি বাক্য। তবে কম কথার মধ্যেও বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের উত্তাপ আড়াল হয়নি। স্বীকার করেছেন চাপের কথাও।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের ফিরতি লেগে মঙ্গলবার রাত ৮টায় জাতীয় স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত। মার্চে শিলংয়ে গোলশূন্য ড্র দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন দুই দলই।
এখন অবশ্য বাছাই পেরোনোর সম্ভাবনা নেই দু’দলের কারোরই। চার ম্যাচে কারোরই জয় নেই। তাই বাকি দুই ম্যাচ শুধু ‘সি’ গ্রুপে তৃতীয় হওয়ার লড়াই এবং মর্যাদা রক্ষার সুযোগ।
পরিসংখ্যান ভারতের দিকেই ঝুঁকে। ২০০৩ সালের সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের পর আর কখনো বাংলাদেশকে হারে দেখেনি ভারত। দুই দশকেরও বেশি সময়ের সেই অজেয় ধারা ধরে রাখতে চান খালিদ। তবে বাংলাদেশকে তিনি দেখছেন যথেষ্ট শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসেবে।
তিনি বলেন, “হ্যাঁ, বাংলাদেশ খুব ভালো দল। তাদের ভালো খেলোয়াড় আছে। আমি দেখেছি, তাদের গুণগত মান আছে। ঘরে-বাইরে তাদের খেলায় অনেক উন্নতি হয়েছে।”
“সবাই জানে ম্যাচটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা প্রতিটি ম্যাচের মতোই প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রস্তুতিতে কোনো বদল নেই। কিন্তু সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে।”
চাপ অনুভব করছেন কি না—এ প্রশ্নে সাবেক ভারতীয় মিডফিল্ডার খুব সংক্ষেপে উত্তরে বললেন—
“হ্যাঁ, চাপ আছে। সবাই জানে দায়িত্ব নিতে হবে। কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।”
শিলংয়ে ফিরতি ম্যাচ খেলার জন্য অবসর ভেঙে নেমেছিলেন সুনিল ছেত্রী। তবে এবার তিনি নেই। আন্তর্জাতিক ফুটবলের চতুর্থ সর্বোচ্চ গোলদাতাকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে খালিদ সোজাসাপটা জবাব দেন—
“সে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছে (তাই আমাদের ভাবনায় নেই)।”
হামজা চৌধুরী ও শোমিত সোমের মতো প্রবাসীরা দলে যোগ দেওয়ায় বাংলাদেশ আগের চেয়ে শক্তিশালী—এ কথা মানছেন ভারত কোচ। তবে পরিকল্পনা তিনি করছেন পুরো দলকে কেন্দ্র করে।
“আমরা শুধু একজন খেলোয়াড় নিয়ে ভাবি না। বাংলাদেশের সব খেলোয়াড়ই ভালো। তাই আমরা পুরো দলকেই ভাবছি।”
সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের সম্পর্ক, ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর বাতিলসহ নানা ইস্যুতে ভারত দলের ঢাকায় আসা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এ নিয়েও সংক্ষেপে উত্তর দিলেন খালিদ।
“আমরা এখানে ফুটবল খেলতে এসেছি। শুধু ম্যাচে মনোযোগ দিচ্ছি। নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।”
বাছাইয়ে আর আশার সুযোগ নেই—তাহলে ভারত এই ম্যাচ থেকে কী চায়? এখানেও খালিদের উত্তর সংক্ষিপ্ত এবং পরিষ্কার—
“এটি কোনো প্রীতি ম্যাচ নয়। এটি বাছাই ম্যাচ। খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচ মানেই গুরুত্বপূর্ণ।”