পিএসজির ইতিহাস গড়া অসাধারণ পারফরম্যান্সের মাধ্যমে আফ্রিকার সেরা ফুটবলার হয়েছেন আশরাফ হাকিমি।
আগের দুইবার দ্বিতীয় স্থান অধিকার করার পর এবার তিনি সেরার স্বীকৃতি অর্জন করলেন। পিএসজির ইতিহাস গড়া মৌসুমের দোলায় মরক্কোর এই তারকা আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলারের খেতাব জয় করলেন। ৫২ বছর পর এই মহাদেশের সেরা ফুটবলার হিসেবে কোনো ডিফেন্ডারকে চিহ্নিত করা হলো।
গত মৌসুমে পিএসজির ফরাসি লিগ, ফরাসি কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় করতে হাকিমির অবদান ছিল বিশাল। এরপর উয়েফা সুপার কাপও জিতেছেন তিনি পিএসজির হয়ে।
মরক্কোর কোনো ফুটবলার শেষবার আফ্রিকার সেরা হয়েছিলেন ১৯৯৮ সালে। সেই বছর বিশ্বকাপে দারুণ পারফরম্যান্স দেখানো মুস্তাফা হাজি পুরস্কারটি জিতেছিলেন। হাকিমির জন্মও সেই বছর। এত দীর্ঘ পথ পেরিয়ে অবশেষে আবার মরক্কোর একজন ফুটবলার মহাদেশের সেরা হলেন।
ডিফেন্ডারের এই স্বীকৃতির ইতিহাস আরও পুরনো—১৯৭৩ সালে সেই সময়ের জাইরের (বর্তমান কঙ্গো) ডিফেন্ডার বুয়াঙ্গা শিমেন প্রথমবার এই খেতাব জিতেছিলেন।
রাবাতে বুধবার আফ্রিকান ফুটবল কনফেডারেশনের অ্যাওয়ার্ড নাইটে সেরার ট্রফি হাতে পেয়ে হাকিমি ছিলেন উচ্ছ্বসিত।
তিনি বলেন,
“মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার জেতা আমার জন্য গর্বের। এটি শুধুমাত্র আমার অর্জন নয়, আফ্রিকার সব ছেলে-মেয়ের জন্য যাঁরা ফুটবলার হতে চায়। যারা ছোটবেলা থেকেই আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছেন যে একদিন আমি পেশাদার ফুটবলার হব, এই পুরস্কার তাদের জন্যও। সবাইকে ধন্যবাদ।”
লিভারপুলের তারকা মোহামেদ সালাহ এবার হয়েছেন দ্বিতীয় সেরা। এছাড়া নাপোলি থেকে গালাতাসারাইয়ে যাওয়া ভিক্টর ওসিমেনও শীর্ষের তালিকায় থাকলেন।
মরক্কোর প্রাপ্তি শুধু হাকিমিই নয়। ছেলেদের বর্ষসেরা গোলকিপার হয়েছেন আল হিলালের ইয়াসিন বোনু, আর নারী ফুটবলারদের বর্ষসেরা মরক্কোর ফরোয়ার্ড ঘিজলেন চেবাক।
বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার পেয়েছেন বুবিস্তা, যিনি বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়া কেপ ভার্দকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।