আরিয়েন রবেনের রেকর্ডকে অবিশ্বাস্যভাবে ৪১ ম্যাচ পেছনে ফেলে একটি দারুণ কীর্তি গড়লেন বায়ার্ন মিউনিখের ফরোয়ার্ড হ্যারি কেইন।
দলের জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল অনেক আগেই। তবু একটু খামতি ছিল কেইনের খেলায়। অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড পরে মাঠে নেমে কয়েকটি সুযোগ পেলেও গোল করতে পারছিলেন না। অবশেষে শেষ মুহূর্তে জালের দেখা পেলেন তিনি। সেই গোলেই স্পর্শ করলেন একটি বিশেষ মাইলফলক—সেঞ্চুরি ছুঁলেন, আগের রেকর্ডকে অনেকটা পিছনে ফেলে।
বুন্ডেসলিগায় হাইডেনহাইমকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে বছর শেষ করল বায়ার্ন মিউনিখ। চোট ও অন্যান্য কারণে প্রথম পছন্দের একাদশের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় ছাড়া একাদশ সাজালেও বড় জয়েই মাঠ ছাড়ল দল। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ৯ পয়েন্টের ব্যবধানে নতুন বছর শুরু করবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের ১৫তম মিনিটে বায়ার্নকে এগিয়ে দেন ক্রোয়াট ডিফেন্ডার ইয়োসিপ স্তানিসিচ। ৩২তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান মাইকেল ওলিসে। ৮৬তম মিনিটে গোল করেন লুইস দিয়াস। যোগ করা সময়ে দ্বিতীয় মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলটি করেন কেইন।
বুন্ডেসলিগায় এটি তার ৮১তম গোল। এছাড়া সহায়তা করেছেন ১৯টি গোলে। বুন্ডেসলিগায় গোল ও অ্যাসিস্ট মিলিয়ে ১০০ গোলে অবদান রাখলেন তিনি মাত্র ৭৮ ম্যাচ খেলে। এই দ্রুততম ১০০ গোলে অবদানের রেকর্ড আগের রেকর্ডধারীকে সম্পূর্ণ ছাপিয়ে দিল ইংলিশ ফরোয়ার্ড।
জার্মানির শীর্ষ লিগে দ্রুততম ১০০ গোলে অবদানের রেকর্ডটি আগে ছিল আরিয়েন রবেনের। সাবেক ডাচ উইঙ্গারের জন্য এটি ঘটেছিল ১১৯ ম্যাচে।
বায়ার্নের জার্সিতেও কেইন আগেও বহু রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন। নতুন অর্জনেও তিনি আপ্লুত, তবে বলছেন রেকর্ড নিয়ে খুব বেশি ভাবনা নেই। ৩২ বছর বয়সী তারকা এখন তাকিয়ে পরের একশতে।
“শেষ পর্যন্ত গোলটি করতে পারায় ভালো লাগছে। আগেও কিছু সুযোগ পেয়েছিলাম, কাজে লাগাতে না পারায় বিরক্ত ছিলাম। পরে অন্তত একটি গোল করতে পেরেছি।”
“অবশ্যই গর্বিত (রেকর্ড নিয়ে)। প্রতিদিনের নিবেদন, সতীর্থ ও সাপোর্ট স্টাফদের সহযোগিতা আমাকে আরও ভালো করে। আমি রেকর্ডের দিকে বেশি তাকাই না। তবে যখন তা ঘটে, ভালো লাগে এবং পরবর্তী অর্জনের দিকে মন যায়। দেখব, পরের একশ কত দ্রুত করতে পারি।”
অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটছেন কেইন। এবারের লিগে ১৫ ম্যাচে তিনি করেছেন ১৯ গোল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই মৌসুমে তার গোল এখন ২৫ ম্যাচে ৩০টি।