পাকিস্তানের সাবেক পেসার শোয়েব আখতার ওয়ানডে কোচ মাইক হেসনের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে একশরানের রেকর্ড পূরণ করতে না পারার পর পাকিস্তান দলের পারফরম্যান্স নিয়ে তিনি তীব্র সমালোচনা করেছেন। সাবেক এই পেসারের মতে, পেস সহায়ক কন্ডিশনে দলের আসল চেহারা সবসময় স্পষ্ট হয়ে উঠে।
মঙ্গলবার ত্রিনিদাদে পাকিস্তান ক্যারিবিয়ানদের সামনে দাঁড়াতে পারেনি। ৬ উইকেট নিয়ে জেডেন সিলস একাই পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন-আপ ভেঙে দেন। ২৯৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে সফরকারীরা মাত্র ৯২ রানই করতে পারে। এতে স্বাগতিকরা ২০২ রানের বিশাল জয় পায়।
টানা দুই জয়ের মাধ্যমে তিন ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তানকে ২-১ ব্যবধানে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রায় ৩৪ বছর পর পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ জয় পেয়েছে দুইবারের বিশ্বকাপ বিজয়ীরা।
এবারের সফরে পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২-১ ব্যবধানে হারালেও ওয়ানডেতে জয় দিয়ে শুরু করার পর তারা পথ হারিয়ে ফেলে।
এই ব্যর্থতার পর শোয়েব আখতার কোচ মাইক হেসনের সামর্থ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। একটি টিভি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ওয়ানডের জন্য মাইক হেসন উপযুক্ত নন।
“মাইক হেসন একজন ভালো টি-টোয়েন্টি কোচ, কিন্তু ওয়ানডেতে তার কি কোয়ালিটি আছে আমি জানি না। এই সংস্করণে যদি মানসম্পন্ন খেলোয়াড়দের না খেলালে এটাই ঘটবে।”
৫০ ওভারের লড়াইয়ে পাকিস্তান ৩০ ওভারও খেলতে পারেনি। তাদের ইনিংসে কোনো ফিফটি হয়নি। ৪০ রানের জুটি নেই একটিও। শোয়েব আখতার টিম ম্যানেজমেন্টকে এই হতাশাজনক পারফরম্যান্সের জন্য দায়ী করেছেন।
“প্রতিষ্ঠিত অলরাউন্ডার, ব্যাটসম্যান, বোলার ও স্পিনার না খেলালে, পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারবেন না। এই সংস্করণে কোনোমতে খেলে যেতে পারবেন না।”
“এটা বাজে নীতির ফল, খেলোয়াড়দের দোষ নয়। পেস সহায়ক উইকেটে সবসময় খেলোয়াড়দের আসল চেহারা বেরিয়ে আসবে। এখন এই পুনর্নির্মাণ প্রক্রিয়াটিকে একটি নতুন নাম দেওয়া হয়েছে, সমন্বয় তৈরি করা।”
পাকিস্তানের ব্যাটিং কতটা ভঙ্গুর তা পেস সহায়ক কন্ডিশনে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। শোয়েব আখতার অস্ট্রেলিয়ার তারকা দুই প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্ককে উদাহরণ হিসেবে টেনে পাকিস্তানের ব্যাটিং নিয়ে কটাক্ষ করেন।
“তাদের শুকরিয়া করা উচিত যে, প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্ক সেখানে (ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে) ছিল না। যখন এমন কন্ডিশনে খেলা হবে, আমাদের খেলোয়াড়দের খোলস ভেঙে যাবে।”