ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৭৬ রানে হারিয়ে বিশাল জয় পেয়েছে। ম্যাচের প্রথম ভাগে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালালেন ট্রাভিস হেড ও ক্যামেরন গ্রিন। তাদের সঙ্গে সেঞ্চুরি করেছেন অধিনায়ক মিচেল মার্শও। এই ধারাবাহিক ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়া বড় রান স্কোর তৈরি করলেও পরে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং কুপার কনোলির বাঁহাতি স্পিনে গুঁড়িয়ে যায়।
অস্ট্রেলিয়ার জয় ২৭৬ রানে এসেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪.৫ ওভারে মাত্র ১৫৫ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এই জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়ানডেতে তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হারের তেতো স্বাদ পেয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার জন্য এটি তাদের দ্বিতীয় বড় জয়।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় হার হয়েছিল ২০২৩ বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে ২৪৩ রানে। অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ জয় ছিল ২০০৬ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৩০৯ রানে।
জয়ের নায়করা
- ট্রাভিস হেড খেলেছেন বিধ্বংসী ইনিংস: ১৭ চার ও ৫ ছক্কায় ১০৩ বলে ১৪২ রান।
- অধিনায়ক মিচেল মার্শ ১০৬ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ১০০ রান করেন।
- ক্যামেরন গ্রিন ৪৭ বলে ১১৮ রান করে ৮ ছক্কা ও ৬ চার মারেন।
কনোলির কীর্তি
বাঁহাতি স্পিনার কুপার কনোলি মাত্র ৬ ওভারে ২২ রানে ৫ উইকেট নেন। ২২ বছর ২ দিন বয়সে তিনি অস্ট্রেলিয়ার সর্বকনিষ্ঠ ওয়ানডে বোলার হিসেবে পাঁচ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়েছেন। এতে তিনি ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার হিসেবে সেরা বোলিং রেকর্ডও নিজের নামে করে নেন।
ম্যাচের বিশদ
- হেড দ্রুত ৩২ বলেই পঞ্চাশ রানের গণ্ডি ছুঁয়েছেন। তার সঙ্গে মার্শের জুটি ২৫০ রান গড়ে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি স্থাপন করে।
- গ্রিন ইনিংসের শুরুটা ধীর ছিলেন, ২৭ বলে ৪৩ রান করেছিলেন। এরপর টানা ছক্কা ও চারের মাধ্যমে ইনিংসকে এগিয়ে নেন।
- দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং বিপর্যয়: পাওয়ার প্লের মধ্যে ৫০ রানে ৪ উইকেট হারায় তারা। কনোলির ধারাবাহিক উইকেটে অবশেষে ম্যাচের ইতি টানা হয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
- অস্ট্রেলিয়া: ৪৩১/২ (৫০ ওভার) – হেড ১৪২, মার্শ ১০০, গ্রিন ১১৮, কেয়ারি ৫০*
- দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৫৫ (২৪.৫ ওভার)
ফলাফল: অস্ট্রেলিয়া ২৭৬ রানে জয়ী
সিরিজ: অস্ট্রেলিয়া ২-১ ব্যবধানে জয়ী
ম্যাচ সেরার খেতাব: ট্রাভিস হেড
সিরিজ সেরার খেতাব: কেশাভ মহারাজ