BN

অ্যাশেজের আগে অস্ট্রেলিয়ার বড় ধোঁয়াশা কামিন্স

অ্যাশেজের আগে অস্ট্রেলিয়ার বড় ধোঁয়াশা কামিন্স

নিউ জিল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে সীমিত ওভারের সিরিজ খেলতে থাকলেও মাঠে নামতে

নিউ জিল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে সীমিত ওভারের সিরিজ খেলতে থাকলেও মাঠে নামতে পারছেন না অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।

কামিন্সের পরিকল্পনা ছিল নিউ জিল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে মাঠে ফেরার, পাশাপাশি ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ ও শেফিল্ড শিল্ডের একটি-দুটি ম্যাচেও খেলার ইচ্ছা ছিল তার। কিন্তু পিঠের সমস্যার কারণে এখন তিনি কোনো কিছু খেলতে পারছেন না। এই পরিস্থিতি অ্যাশেজ শুরুর সময় তাকে পাওয়া নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে শঙ্কা তৈরি করেছে।

গত জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট সিরিজের পর থেকে কোনো ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নেননি কামিন্স। ক্যারিবিয়ায় টি-টোয়েন্টি সিরিজসহ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজেও তাকে দেখা যায়নি। নিউ জিল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণার দিন মঙ্গলবার জানা যায়, তার পিঠে সমস্যা রয়েছে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পরই কামিন্স পিঠে ব্যথা অনুভব করছিলেন। প্রথমে সেটি গুরুতর মনে হয়নি। তবে রুটিন পরীক্ষায় হাড়ে স্ট্রেস ধরা পড়ে। সৌভাগ্যক্রমে কোনো স্ট্রেস ফ্র্যাকচার হয়নি। তবে সতর্কতা অবলম্বন না করলে এটি ক্রমে স্ট্রেস ফ্র্যাকচারে রূপ নিতে পারে। এই কারণেই কামিন্সকে নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

স্ট্রেস ফ্র্যাকচারের সঙ্গে তার পরিচয় নতুন নয়। ২০১১ সালে টেস্ট অভিষেকের পর এই চোটের কারণে তিনি ছয় বছর আন্তর্জাতিক টেস্ট খেলতে পারেননি। ২০১৭ সালে ফেরার পর দীর্ঘ সময় ফিট ছিলেন কামিন্স। ছোটখাটো অ্যাঙ্কেল বা হ্যামস্ট্রিংয়ের সমস্যার বাইরে বড় কোনো চোটের মুখোমুখি হননি তিনি।

তবে এবার পিঠের সমস্যার কারণে শঙ্কা আছে। গত তিন বছরে প্রতি বছরই ৪০০ ওভারের বেশি বোলিং করেছেন তিনি, কিন্তু এই বছর এখনও পর্যন্ত ৮ মাসে মাত্র ১৭৫.১ ওভার বোলিং করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট মিলিয়ে করেছেন ৯৫ ওভার।

গত বছরের জুনে বিশ্বকাপের পর টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলানো হয়নি তাকে। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর এই সংস্করণে স্রেফ দুটি ম্যাচ খেলেছেন গত নভেম্বরে। এত কম বোলিংয়ের পরও পিঠের স্ট্রেসের কারণে পুরনো স্ট্রেস ফ্র্যাকচারের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এই কারণেই অ্যাস্ট্রেলিয়া ঝুঁকি নিতে চায় না। নিউ জিল্যান্ডে আগামী মাসের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ এবং ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে কামিন্স থাকছেন না।

অ্যাশেজ শুরু হবে ২১ নভেম্বর পার্থ টেস্ট দিয়ে। পুনর্বাসন ভালো থাকলে ৩ নভেম্বর ঘরোয়া ওয়ানডে কাপে নিউ সাউথ ওয়েলসের ম্যাচ দিয়ে ফেরার সম্ভাবনা থাকতে পারে। তা না হলে ১০ নভেম্বর শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে তাকে দেখা যেতে পারে। তবে ঝুঁকি থাকলে কোনো ম্যাচে খেলানো হবে না। প্রয়োজনে অ্যাশেজে কোনো ম্যাচ অনুশীলন ছাড়াই নামতে হতে পারে তাকে।

অ্যাশেজ শুরুর সময় যদি কামিন্স না খেলতে পারেন বা কোনো টেস্টে বাইরে থাকেন, নেতৃত্ব দেবেন স্টিভেন স্মিথ। আপাতত কামিন্স ও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটকে শঙ্কা নিয়েই অপেক্ষা করতে হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

নিউ জিল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে সীমিত ওভারের সিরিজ খেলতে

টেস্ট ও ওয়ানডের পর এবার টি-টোয়েন্টি দলে ফিরলেন জিম্বাবুয়ের

ইংল্যান্ডে নিজের দেশের খেলোয়াড়দের এত বড় সংখ্যা দেখে মজা

ক্রিকেট

টেস্ট ও ওয়ানডের পর এবার টি-টোয়েন্টি দলে ফিরলেন জিম্বাবুয়ের অভিজ্ঞ

ফুটবল

ইংল্যান্ডে নিজের দেশের খেলোয়াড়দের এত বড় সংখ্যা দেখে মজা পেয়েছেন

ফুটবল

পিএসজি থেকে তিন কোটি পাউন্ড ট্রান্সফার ফিতে জানলুইজি দোন্নারুম্মাকে দলে

ফুটবল

ব্রিটিশ গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এক কোটি ২১ লাখ পাউন্ড ট্রান্সফার