দক্ষিণ আফ্রিকার অফ স্পিনার প্রেনেলান সুব্রায়েন অবশেষে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় উতরে গেছেন। আইসিসি নিশ্চিত করেছে, তার সব ধরনের ডেলিভারিতেই কনুই নির্ধারিত সীমা ১৫ ডিগ্রির ভেতরে ছিল।
গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেকের সময় প্রশ্নবিদ্ধ হয় সুব্রায়েনের বোলিং অ্যাকশন। এরপর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা তাকে আর কোনো ম্যাচে খেলায়নি।
গত ২৬ আগস্ট ব্রিসবেনে আইসিসির অনুমোদিত ল্যাবে অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন ৩১ বছর বয়সী এই স্পিনার। রোববার পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আইসিসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সব ডেলিভারিতেই সুব্রায়েনের কনুই নির্ধারিত সীমার মধ্যে ছিল।”
এবারই প্রথম নয়, অতীতেও একাধিকবার সমস্যায় পড়েছিলেন সুব্রায়েন। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে তার অ্যাকশন অবৈধ ঘোষণা করে তাকে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার পুনর্বাসন প্রোগ্রামে পাঠানো হয়। এরপর ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে ফের বোলিংয়ের অনুমতি পান তিনি।
কিন্তু ২০১৪ সালে ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টিতে আবারও সন্দেহ ওঠে তার অ্যাকশন নিয়ে। পরীক্ষা করে দেখা যায়, তার সব ডেলিভারি ১৫ ডিগ্রি সীমা অতিক্রম করেছে। ফলে ২০১৫ সালের নভেম্বরে তাকে বোলিং থেকে নিষিদ্ধ করা হয়।
২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ফের পরীক্ষায় ব্যর্থ হলেও, একই বছরের মার্চে আরেক দফা পরীক্ষায় উতরে গিয়ে পুনরায় বোলিং করার ছাড়পত্র পান।
২০১১ সাল থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা সুব্রায়েন এ বছরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক করেন। এখন পর্যন্ত তার একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি ছিল গত জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।