আফগানিস্তানকে ৬৬ রানে গুটিয়ে দিয়ে নাওয়াজের পাঁচ উইকেট ও হ্যাটট্রিক রেকর্ডের পাতায় জায়গা করে নিয়েছে।
পুঁজি বড় ছিল না, তবু পাকিস্তান পেয়েছে বিশাল জয়। মোহাম্মদ নাওয়াজের দুর্দান্ত বোলিংয়ে আফগানিস্তানের ব্যাটিং গুঁড়িয়ে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের ট্রফি জিতে নিয়েছে সালমান আলি আগার দল। এই ম্যাচ এমন একটি ঝড় তুলেছে যা রেকর্ড বইয়ে স্থান করে নিয়েছে।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার স্পিন সহায়ক উইকেটে ১৪১ রানের লক্ষ্য নিয়ে আফগানিস্তান মাত্র ৬৬ রানে অলআউট হয়। পাকিস্তান জিতে নেয় ৭৫ রানে।
সর্বনিম্ন স্কোর
আফগানিস্তানের ৬৬ রান কোনো টি-টোয়েন্টি ফাইনালে সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। আগের সর্বনিম্ন ছিল ৬৯, যা ২০২৪ সালে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উপ-আঞ্চলিক ইউরোপিয়ান বাছাইয়ের ফাইনালে নরওয়ের বিরুদ্ধে হয়েছিল। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ফাইনালে আফগানিস্তানের চেয়ে কম রানে অলআউট হওয়া নজির কেবল তিনটি। আফগানদের এটি নিজেদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর; ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদের সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ৫৬। এছাড়া পাকিস্তানের বিপক্ষে কোনো দলের চতুর্থ সর্বনিম্ন স্কোর আফগানদের ৬৬।
নাওয়াজের কীর্তি
- চার ওভারে ১৯ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নাওয়াজ। তিনি দ্বিতীয় বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টি ফাইনালে পাঁচ উইকেট পান।
- আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় বোলার হিসেবে পাঁচ উইকেট পেলেন নাওয়াজ। এর আগে ২০২২ এশিয়া কাপের ভারতীয় পেসার ভুবনেশ্বর কুমার ও একই বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইংলিশ পেস বোলিং অলরাউন্ডার স্যাম কারান পেয়েছিলেন।
- দুই ওভারে হ্যাটট্রিক সম্পন্ন করেন নাওয়াজ। পাকিস্তানের ইতিহাসে হ্যাটট্রিক করা তৃতীয় বোলার তিনি। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাহিম আশরাফ (২০১৭) ও মোহাম্মদ হাসনাইন (২০১৯) টানা তিন বলে তিন উইকেট নিয়েছিলেন।
- বল বাই বল’ হিসাবের মতে, টি-টোয়েন্টি ফাইনালে হ্যাটট্রিক করা তৃতীয় বোলার নাওয়াজ। এর আগে ২০২১ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে উগান্ডার এলিজা ওতিয়েনো ও ২০২২ সালে মাল্টার বিপক্ষে বেলজিয়ামের খালিদ আহমাদি পেয়েছিলেন।
স্পিনারদের রাজত্ব
শারজাহ ফাইনালে দুই দলের স্পিনাররা যৌথভাবে ১৫ উইকেট নেন। এটি কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচে স্পিনারদের তৃতীয় সর্বোচ্চ। পাকিস্তানের স্পিনাররা এই ১৫-এর মধ্যে ৯টি উইকেট নেন, যা এই সংস্করণে তাদের সর্বোচ্চ।
সাতে সাত
এই ত্রিদেশীয় সিরিজে সাত ম্যাচের সবটিতেই জয় পেয়েছে আগে ব্যাটিং করা দল। টি-টোয়েন্টি সিরিজ বা টুর্নামেন্টে সব ম্যাচ আগে ব্যাটিং করে জয়ের রেকর্ডের চূড়ায় এটিই পৌঁছেছে। আগের সর্বোচ্চ ছিল পাঁচটি।