হাত না মেলানোর ঘটনায় ভারতীয় ক্রিকেটারদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের সাবেক তারকারা। বাসিত আলি সরাসরি আক্রমণ করেছেন ভারতকে, রাশিদ লাতিফ আইসিসির দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন আর শোয়েব আখতার হতবাক হয়ে গেছেন।
পাকিস্তান দল খারাপ খেললে নিজেদের ক্রিকেটারদের কড়া সমালোচনা করতে কখনো পিছু হটেন না দেশটির সাবেকরা। এবারও সমালোচনা আছে, তবে লক্ষ্য ভারতের দিকে। এশিয়া কাপের ম্যাচে করমর্দন না করায় ভারতীয় ক্রিকেটারদের প্রতি বেজায় চটেছেন পাকিস্তানের সাবেকরা।
রোববার এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ভারত ৭ উইকেটে হারায় পাকিস্তানকে। তবে ম্যাচের ফলাফলের চেয়ে বেশি আলোচনায় আছে টস ও ম্যাচ-পরবর্তী মুহূর্ত। টসের সময় পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আগার সঙ্গে হাত মেলাননি ভারতের অধিনায়ক। ম্যাচের পরও পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে করমর্দন করেননি ভারতীয়রা।
প্রতিবাদ হিসেবে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী এড়িয়ে যান। সংবাদ সম্মেলনে কোচ মাইক হেসন হতাশা প্রকাশ করেন। এমনকি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগও জানানো হয়েছে।
এই ঘটনাকে ঘিরেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে। সাবেক অধিনায়ক রাশিদ লাতিফ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন:
“আপনারা ভারতীয় ক্রিকেট, বিশ্বের সেরা দল। কিন্তু ম্যাচ শেষে হাত না মেলানোয় আসল চেহারা প্রকাশ পেয়েছে। পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা অপেক্ষা করছিল, ভারতীয়রা চলে গেল ড্রেসিংরুমে। আইসিসি কোথায়?”
তিনি আরও বলেন, “আগে যুদ্ধ হলেও কখনো করমর্দন বাদ দেইনি আমরা। এবারের ঘটনার দাগ অনেক দিন থাকবে। আমরা দেশের জন্য খেলি। আজ যা হলো, তা ঠিক হয়নি।”
ভারতের পারফরম্যান্সে প্রশংসা করলেও হাত না মেলানোর ব্যাপারে হতাশ শোয়েব আখতার বলেছেন,
“আমি সত্যিই ভাষাহীন। হতাশাজনক দৃশ্য। ভারতকে অভিনন্দন, তবে ক্রিকেটকে রাজনীতি বানাবেন না। ভুলে যান এসব, সামনে তাকান। এটা তো স্রেফ খেলা। হাত মেলান, সৌহার্দ্য দেখান।”
বাসিত আলি এবার ভারতের ওপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে আইসিসির প্রধান ও ভারতীয় বোর্ডের সাবেক কর্তা জয় শাহকে প্রশ্ন করেছেন:
“এটা এশিয়া কাপ, তাই না? আইসিসির আসরে যদি এরকম হয়, তখন প্রধান কী বলবেন? হাত না মেলালে আপনি নায়ক হয়ে যাবেন? মোটেও না।”
পাকিস্তানের সাবেক কিপার-ব্যাটসম্যান কামরান আকমলও হতবাক:
“জীবনে প্রথমবার টসের সময় হাত মেলানো হয়নি, ম্যাচের পর করমর্দন হয়নি। এতে ক্রিকেটের ভালো কিছু হবে না, আরও খারাপ হবে। বেচারা ক্রিকেটারদের বাধ্য করা হয়েছে এসব করতে।”
গ্রুপ পর্বের পর সব ঠিক থাকলে সুপার ফোর বা এমনকি ফাইনালেও আবার দেখা হতে পারে দুই দলের। তখনও কি থাকবে একই দৃশ্য—সেটিই এখন প্রশ্ন।