২০২৭ সালে দেশের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে কুইন্টন ডি ককের খেলার সম্ভাবনা নতুন করে জাগল।
ওয়ানডে দল থেকে সরে দাঁড়ানোর দুই বছরের বেশি সময় পর, আবার এই সংস্করণে দেশের হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডি কক। পাকিস্তান সফরের জন্য তাকে নিয়েই সাজানো হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দল।
অক্টোবর-নভেম্বরের এই সফরে দক্ষিণ আফ্রিকা পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে। এর আগে নামিবিয়ার বিপক্ষে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও রয়েছেন ডি কক।
২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর এই সংস্করণকে বিদায় জানিয়েছিলেন ডি কক। তখন তার বয়স মাত্র ৩০ বছর। এর প্রায় দেড় বছর আগে ৫৪ টেস্টে ৬টি সেঞ্চুরি ও ২২টি হাফসেঞ্চুরি করে ৩,৩৩০ রান করা এই ক্রিকেটার ওয়ানডে থেকে সরে দাঁড়ান।
দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সিতে সবশেষ সাদা বলের ম্যাচ খেলেছেন ২০২৪ সালের জুনে, ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কখনও টি-টোয়েন্টি জাতীয় দল থেকে অবসর নেননি তিনি।
সাবেক কোচ রব ওয়াল্টারের সময় দীর্ঘ সময়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার কোনো দলে ডি কককে রাখা হয়নি, কারণ তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা স্পষ্ট ছিল না। এই সময়ে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি লিগে খেলেছেন, সর্বশেষ সোমবার শেষ হওয়া ক্যারিবিয়ান সুপার লিগেও অংশ নিয়েছেন।
ডি ককের সঙ্গে আলোচনার পর জাতীয় দলের বর্তমান প্রধান কোচ শুক্রি কনরাড জানান, ৩২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার এখন পুরোপুরি জাতীয় দলের প্রতি নিবেদিত থাকবেন।
“সাদা বলের শিবিরে কুইন্টনের ফেরা আমাদের জন্য দারুণ অনুপ্রেরণা। তার মধ্যে এখনও দেশের জন্য খেলবার গভীর আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। তার দলে থাকার মান আমরা সবাই জানি, তাই তাকে দলে পাওয়া আমাদের জন্য বিশেষ সুযোগ।”
ডি কক ১৫৫ ওয়ানডেতে ৪৫.৭৪ গড়ে ৬,৭৭০ রান করেছেন। ওয়ানডে থেকে বিদায় নেওয়ার সময়ও তিনি পুনরায় ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ৫০ বছরের ক্রিকেটে তার ২১টি শতক ও ৩০টি অর্ধশতক রয়েছে। দেশের হয়ে ৯২ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৩১.৫১ গড়ে ২,৫৮৪ রান করেছেন, একটি সেঞ্চুরি ও ১৬টি হাফসেঞ্চুরি সহ।