দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিনে পাকিস্তান ২৩ রানে এগিয়ে থাকলেও ৪ উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে।
অভিষিক্ত আসিফ আফ্রিদির রেকর্ডগড়া বোলিংয়ে লিড পাওয়া পথে এগিয়েছিল পাকিস্তান। তবে তাদের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়ান সেনুরান মুথুসামি ও কাগিসো রাবাদা। শেষ জুটিতে এই দুইজনের দৃঢ়তায় উল্টো এগিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। পরে দ্রুত কয়েকটি উইকেট তুলে নিয়ে তারা চেপে ধরেন স্বাগতিকদের।
রাওয়ালপিন্ডিতে ঘটনাবহুল তৃতীয় দিনের শেষে পাকিস্তান ২৩ রানে এগিয়ে আছে। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৪ রান তুলতে তারা ইতিমধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়েছে। বাবর আজম ৭ চারে ৪৯ রান করে অপরাজিত থাকছেন, সঙ্গে মোহাম্মদ রিজওয়ান ১৬ রানে।
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংস ৪ উইকেটে ১৮৫ রানে শুরু করে ৪০৪ রানে শেষ করে। শেষ উইকেটে মুথুসামি ও রাবাদার ৯৮ রানের জুটিতে ৭১ রানের লিড পায় তারা।
মুথুসামি ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট ফিফটির স্বাদ নেন ৮৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে। ১১ নম্বরে নেমে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে রাবাদা ৭১ রান করেন, যা এই অবস্থানে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ। ১৯০৬ সালের রেকর্ড ভেঙে দেন তিনি।
রাবাদা-মুথুসামির জুটির প্রতিরোধ ভেঙে দেন আসিফ আফ্রিদি। ৭৯ রানে তিনি নেন ৬ উইকেট এবং ৩৮ বছর ২৯৯ দিনে টেস্টে অভিষেকের সময় পাঁচ উইকেট শিকার করে ইতিহাস সৃষ্টি করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে রাবাদা-র মূহূর্তের ঝড় চলতে থাকে। মুখোমুখি চতুর্থ বলে নোমান আলিকে চার মেরে শুরু হয় তাণ্ডব। পরে সাজিদকে ছক্কার মাধ্যমে ফেরান। আফ্রিদির দুই ওভারে ছক্কা ও চার মারার পর সাজিদ ফেরেন, এতে আফ্রিদি পূর্ণ করেন পাঁচ উইকেট।
পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হয় বিপর্যয়ময়। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান পরপর উইকেট হারান। ইমাম-উল-হাক এলবিডব্লিউ হন হার্মারের বলে, শান মাসুদ রান করতে পারেননি, আবদুল্লাহ শাফিক স্লিপে ধরা পড়েন রাবাদার বলে।
বাবর আজম ও রিজওয়ান শেষ পর্যন্ত নিরাপদে ব্যাটিং করেন। বাবর ৪৯ রানে অপরাজিত, রিজওয়ান ১৬।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
- পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৩৩৩
- দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৪০৪ (৪০৪/৮)
- পাকিস্তান ২য় ইনিংস: ৯৪/৪ (৩৫ ওভার; বাবর ৪৯*, রিজওয়ান ১৬)
সাফল্য
- রাবাদা দক্ষিণ আফ্রিকার ১১ নম্বরে সর্বোচ্চ রান
- আফ্রিদি ৩৮ বছরের বয়সে ৫ উইকেট নিয়ে অভিষেকে রেকর্ড