প্রাথমিকভাবে উইকেট দেখে ভালোই লেগেছে তার, তবে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার আগে সেটি ভালোভাবে যাচাই করে নিতে চান ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শেই হোপ।
ঢাকা ও চট্টগ্রামের উইকেটের পার্থক্য চোখে পড়ার মতো—এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই হোপের। তবে চট্টগ্রামের উইকেট ম্যাচের দিনে কেমন আচরণ করবে, সেটি নিয়েই ভাবনায় আছেন তিনি। তাই আগে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে তারপরই কৌশল নির্ধারণ করতে চান এই ক্যারিবীয় অধিনায়ক।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে সোমবার বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নামবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে উইকেট নিয়ে বেশ কথা বলেন হোপ।
চট্টগ্রামে আসার পর টানা দুই দিন উইকেট পর্যবেক্ষণ করেছেন তিনি। প্রথম দেখায় সেটি ব্যাটসম্যানদের জন্য অনুকূল মনে হলেও, চূড়ান্ত মন্তব্যের আগে আরও সময় নিতে চান।
“দেখে মনে হচ্ছে উইকেটটা ভালো। চোখে দেখলেই বোঝা যায়, এটা ব্যাটিংয়ের জন্য ঠিকঠাক। আমি যতবার চট্টগ্রামে খেলেছি, সবসময়ই ব্যাটসম্যানদের জন্য উইকেট ভালো ছিল। তবে শুধু দেখে বোঝা যায় না—এটা যাচাই করতে হবে। শেষ দিকে স্পিন কতটা হবে, বল কতটা স্কিড করবে—এসব বিবেচনা করেই আসল মূল্যায়ন করতে হবে।”
টি-টোয়েন্টিতে নিজের দলের সামর্থ্য ও গভীরতা নিয়ে আশাবাদী হোপ। লম্বা ব্যাটিং লাইনআপে আছেন একাধিক পাওয়ার হিটার, যা তাদের অন্যতম শক্তি বলে মনে করেন তিনি।
“নির্দিষ্ট কোনো দিককে শক্তি হিসেবে আলাদা করা কঠিন। তবে আমি মনে করি, আমাদের ব্যাটিং গভীরতা এখন সেরা অবস্থায় আছে। ব্যাটারদের শক্তি নিঃসন্দেহে বিশ্বমানের।”
“তবে কাগজে বড় নাম থাকলেই হবে না—মূল বিষয় হলো পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা। বোলারদের আগের চেয়ে ভালো করতে হবে, আর ব্যাটাররা যদি ছন্দে থাকে, আমি নিশ্চিত আমরা চমৎকার একটি সিরিজ খেলব।”
দশ বছরের বেশি সময় ধরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন শেই হোপ। এই সময়ের মধ্যে দলের উত্থান-পতন দুটোই কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। এবার নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দলের ধারাবাহিকতা ফিরিয়ে আনতে চান ক্যারিবীয় অধিনায়ক।
“ধারাবাহিকতাই আসল চাবিকাঠি। পরিকল্পনা যেমনই করি না কেন, বাস্তবায়নটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দক্ষতার ওপর আস্থা রাখতে হবে। গত কয়েক বছর ধরে বোলাররা ভালো করছে, কিন্তু এবার লক্ষ্য হবে ধারাবাহিকভাবে লাইন-লেংথে শৃঙ্খলা বজায় রাখা, যাতে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের চাপে রাখা যায়—যেভাবেই খেলা হোক না কেন।”