জ্যামাইকার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে হার এড়ালেই কুরাসাও নতুন ইতিহাস রচনা করবে।
জনসংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে তারা বিশ্বকাপের দরজায় দাঁড়িয়েছে। শুধু এক পয়েন্ট পেলেই ইতিহাসে নাম লিখাবে কুরাসাও।
বাছাইপর্বে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের এই ক্ষুদ্র দ্বীপ-রাষ্ট্র শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ সময় বারমুডাকে ৭-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে। এই জয়ের সঙ্গে পাঁচ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট তুলে ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষে পৌঁছে গেছে দলটি।
আগামী বুধবার দ্বিতীয় স্থানে থাকা জ্যামাইকার বিপক্ষে হার এড়াতে পারলেই কুরাসাও নিশ্চিত করবে তাদের বিশ্বকাপ যাত্রা।
কত ছোট এই কুরাসাও?
বিশ্বকাপ ঘিরে ‘আন্ডারডগ’ দলগুলোর রোমাঞ্চকর গল্পের শেষ নেই।
২০১৮ সালে সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে আইসল্যান্ডের বিশ্বকাপে খেলা, সম্প্রতি দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ কেপ ভার্দের ২০২৬ বিশ্বকাপে যোগদান, কিংবা ২০০৬ সালে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর অংশগ্রহণ—সবই অনুপ্রেরণার দৃষ্টান্ত।
কনকাকাফ বাছাইপর্বে কুরাসাও তারকমি এক অসাধারণ গল্প লিখছে। মাত্র এক লাখ ৫৬ হাজার জনসংখ্যা এবং ৪৪৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দ্বীপ আইল অব ম্যানের থেকেও ছোট। তারা এখন আইসল্যান্ডকে ছাড়িয়ে সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে উঠার কদমে—শুধু এক পয়েন্ট দূরে।
কুরাসাও কোথায়?
ক্যারিবীয় সাগরে, ভেনেজুয়েলার ঠিক উত্তরে অবস্থিত কুরাসাও। ভৌগোলিকভাবে দক্ষিণ আমেরিকার পাশে হলেও তারা কনকাকাফ অঞ্চলের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিচ্ছে।
দেশটি মূলত কুরাসাও দ্বীপ এবং জনবসতিহীন লিটল কুরাসাও এই দুই দ্বীপ মিলে গঠিত। এখানে ডাচ, ইংরেজি এবং পাপিয়ামেন্তো ভাষায় কথা বলা হয়।