BN

নারী বিশ্বকাপে আম্পায়ারদের পারফরম্যান্স কেমন?

নারী বিশ্বকাপে আম্পায়ারদের পারফরম্যান্স কেমন

চলমান নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপে আম্পায়ারিংয়ের মান নিয়ে সর্তকতা ও সমালোচনা দেখা যাচ্ছে।

চলমান নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপে আম্পায়ারিংয়ের মান নিয়ে সর্তকতা ও সমালোচনা দেখা যাচ্ছে। টুর্নামেন্টের প্রথম দুই সপ্তাহেই বেশ কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নজরে এসেছে। ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) ব্যবহারের ক্ষেত্রেও প্রশ্ন উঠেছে। মেয়েদের ক্রিকেটে ডিআরএস সীমিতভাবে ব্যবহৃত হওয়ায় অনেক আম্পায়ার এখনও এই প্রযুক্তিতে পুরোপুরি অভ্যস্ত নন। ইএসপিএনক্রিকইনফো এমন কিছু আলোচিত ও সমালোচিত সিদ্ধান্ত তুলে ধরেছে—

ইংল্যান্ড–বাংলাদেশ ম্যাচ

নারী বিশ্বকাপে তৃতীয় আম্পায়ারের সবচেয়ে বিতর্কিত ভুলের একটি ঘটেছে ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশের ম্যাচে। ইংল্যান্ড অধিনায়ক হিদার নাইট ১৩ রানে ব্যাট করছিলেন, দল তাড়া করছিল ১৭৯ রানের লক্ষ্য। ফাহিমা খাতুনের বলে নাইট কাভারে স্বর্ণা আক্তারের হাতে ধরা পড়েন। নিজেই হাঁটতে শুরু করলেও টিভি আম্পায়ার গায়ত্রী ভেনুগোপালন রিপ্লে দেখে বলেন, প্রমাণ যথেষ্ট নয়, তাই আউট নয়। এর আগে নাইটের কট বিহাইন্ডেরও একটি সিদ্ধান্ত বাতিল করেছিলেন তৃতীয় আম্পায়ার।

সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক নাসের হুসেইন বলেন, “সেই সন্ধ্যায় আমি হিদার নাইটের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করেছিলাম। সে অকপটই ছিল এবং বলেছিল, ‘আমি ভাবছিলাম আউট, তাই হাঁটতে শুরু করেছি। জীবনে এতবার আউট হলেও টিকে থাকতে হয়নি।’ সেদিন সে ৭৯ রান করে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতিয়েছে। প্রতিপক্ষের জন্য এটি সত্যিই কষ্টদায়ক।”

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ

পাকিস্তানের ওপেনার মুনিবা আলী রানআউট হলে প্রথমে টিভি আম্পায়ার নট-আউট দেখান। পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আউট ঘোষণা করা হয়। টিভি আম্পায়ার কেরিন ক্লাস্ট প্রথমে সব ফুটেজ না দেখে সিদ্ধান্ত নেন, পরে বাড়তি রিপ্লে দেখে সঠিক সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করেন। তবে এই মাঝখানে বেশ বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়, এমনকি মুনিবা ও পাকিস্তান অধিনায়ক ফাতিমা সানা চতুর্থ আম্পায়ারের কাছ থেকে ব্যাখ্যাও চান।

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ:
সুনে লুইসের বিপক্ষে এলবিডব্লু আবেদনে ভারতের রিভিউর দাবি তৃতীয় আম্পায়ার ক্যান্ডেস লা বোর্ডে খারিজ করেন। আলট্রা এজে ক্ষীণ শব্দ শোনা গেলেও রিপ্লে দেখায় বল ব্যাট থেকে দূরে ছিল। তবু লুইসকে নট-আউট দেওয়া হয়।

ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ

অ্যালিসা হিলির ক্যাচ ধরেছিলেন স্নেহ রানা। প্রথমে টিভি আম্পায়ার বল মাটি ছুঁয়েছে বললেও পরে মত পরিবর্তন করে আউট দেন। সাবেক ক্রিকেটার নাসের হুসেইন বলেন, “তৃতীয় আম্পায়ার কয়েকবার রিপ্লে দেখে অনুমানের ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেন। রিপ্লে যত দেখবেন, তত ছোটখাটো বিষয় নজরে আসবে। সঠিক ও সতর্ক সিদ্ধান্ত নেওয়া তাই জরুরি।”

অভিজ্ঞতার অভাব

চলমান নারী বিশ্বকাপে ১০ জন তৃতীয় আম্পায়ার দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের মধ্যে মাত্র ৩ জনের ২০টির বেশি ম্যাচে ডিআরএস ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আছে। অন্যদিকে বেশিরভাগ টিভি আম্পায়ারের ডিআরএস অভিজ্ঞতা অল্প বা শূন্য। ভেনুগোপালন ও ক্লাস্টেও অভিজ্ঞতা সীমিত।

উল্টে যাওয়ার হার বেশি

এই বিশ্বকাপে অন্যান্য আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের তুলনায় মাঠে নেওয়া সিদ্ধান্ত উল্টে যাওয়ার হার বেশি। ৩৬টি ইনিংসে ২৫টি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়েছে, অর্থাৎ প্রতি ইনিংসে গড়ে ০.৬৭টি সফল রিভিউ। ছেলেদের ২০২৩ সালের এশিয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে এই হার ছিল ০.৪৬।

আইসিসির নীরবতা

আইসিসি এখনও আম্পায়ারদের ডিআরএস অভিজ্ঞতা বা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। শুধু কয়েকটি ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন আইসিসির আম্পায়ার ম্যানেজার শন ইজি, তবে কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। অভিজ্ঞতার ঘাটতি ও তাড়াহুড়া সিদ্ধান্তগ্রহণ নারী বিশ্বকাপে আম্পায়ারিংয়ের মান নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

এসি মিলান শিবিরে দুঃসংবাদ। যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় দলের হয়ে খেলতে

গত বছর প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পেলেও নাগরিকত্বের জটিলতায়

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৫৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে পারেনি স্বাগতিকরা।

ফুটবল

এসি মিলান শিবিরে দুঃসংবাদ। যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় দলের হয়ে খেলতে গিয়ে

ক্রিকেট

গত বছর প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পেলেও নাগরিকত্বের জটিলতায় খেলতে

ক্রিকেট

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৫৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে পারেনি স্বাগতিকরা। নিয়ন্ত্রিত

ফুটবল

লা লিগার একটি ম্যাচ যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে আয়োজনের পরিকল্পনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন